ভারত বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে বহু স্তরবিশিষ্ট স্মার্ট ফেন্স বা বেড়া নির্মাণ করবে । এমন বেড়া নির্মাণ করা হলে তখন আর সীমান্তে বিএসএফকে প্রহরা দিতে হবে না। অর্থাৎ সীমান্ত থাকবে প্রহরামুক্ত। কয়েক স্তরে থাকবে নিরাপত্তা বলয়। থাকবে লেজার ওয়াল। বসানো হবে নজরদারিকারী রাডার। সেখান থেকে স্যাটেলাইটে আসবে ছবি। থাকবে থার্মাল গ্যাজেট। এসব ব্যবস্থাই সীমান্ত প্রহরীর কাজটি করে দেবে। এলার্ম বাজিয়ে জানিয়ে দেবে অনুপ্রবেশ ঘটছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে বিএসএফ। আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই এমন বেড়া নির্মাণ করবে ভারত। বুধবার একথা বলেছেন বিএসএফ-এর মহাপরিচালক কেকে শর্মা। এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই। কে কে শর্মা বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বরাদ্দ পেয়েছে তার বাহিনী। ফলে এখন একটি ‘কমপ্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (সিআইবিএমএস) বাস্তবায়নে কাজ করছে তারা। এর ফলে এই দুটি দেশের মধ্যকার স্পর্শকাতর ও জটিল সীমান্তে নিয়মিত যেসব বিএসএফ সদস্য সীমান্ত পাহারা দেয় তা পাল্টে যাবে। শুধু থাকবে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণকারী টিম। নজরদারিকারী রাডার থেকে অনুপ্রবেশের নোটিশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেবল তারা পদক্ষেপ নেবে। তিনি আরো বলেছেন, আমরা সীমান্ত বেড়া আধুনিকায়নের জন্য বেশ কিছু সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছি। সিআইবিএমএস সম্পন্ন করার জন্য প্রযুক্তিগত বিষয় দেখাশোনা করছে ২০টি বড় কোম্পানি। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের দ্বিতীয় শেষভাগে এটা সম্পন্ন হবে। মহাপরিচালক কে কে শর্মা আরো বলেন, এরই প্রেক্ষিতে এরই মধ্যে কিছু পাইলট প্রকল্প চালু হয়েছে। একটি চালু হয়েছে জম্মুতে। এ ছাড়া পাঞ্জাব ও গুজরাটে একটি করে প্রকল্প চলছে। এ দুটি এলাকায় রয়েছে জলাভূমি। একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে আসামের ধুবরিতে। উল্লেখ্য, ভারতে বিএসএফের সদস্য রয়েছে আড়াই লাখ। তাদেরকে আধুনিকায়ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সিআইবিএমএস যখন কার্যক্ষম হবে তখনকার কর্মপরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেছেন বিএসএফের মহাপরিচালক। তিনি বলেছেন, বহু স্তরবিশিষ্ট এই নিরাপত্তা বলয়ে থাকবে নিয়মিত বেড়া। থাকবে লেজার ওয়াল। থাকবে নজরদারিকারী রাডার, স্যাটেলাইটের ছবি, থার্মাল গ্যাজেট। এগুলো থেকে অনুপ্রবেশের সংকেত পাওয়ার পরই নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পদক্ষেপ নেবে। তবে যদি টানেল ব্যবহার করে অনুপ্রবেশ হয় সেক্ষেত্রে কি করণীয় এ বিষয়ে কে কে শর্মা বলেছেন, এক্ষেত্রে তারা টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও গ্যাজেট খুঁজছেন। ইসরাইলের মতো দেশের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। ভারতের প্রযুক্তি বিষয়ক সুখ্যাত প্রতিষ্ঠান আইআইটির কাছ থেকে সঠিক প্রযুক্তি পাওয়ার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে আমরা প্রযুক্তিগত সমাধানের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এ সময় তিনি বলেন, এ বছর জম্মু ও কাশ্মীরে যেসব অনুপ্রবেশ ঘটেছে তার সবটাই হয়েছে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে। এ স্থানগুলো প্রহরার দায়িত্ব ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ বা জঙ্গিদের প্রবেশ বন্ধ করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সফল হয়েছি। এ বছর যত অনুপ্রবেশ ঘটেছে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি তা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে। বিএসএফ যেখানে পাহারা দেয় সেখান দিয়ে আমরা এমন অনুপ্রবেশ ঘটতে দেবো না।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
