ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মদিবস চলাকালে গুলিস্তান ও মতিঝিলের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের পর এবার অন্য এলাকাগুলোতেও একই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়েছেন, জনগণের চলাচলের পথ নির্বিঘ্ন করতে অন্য এলাকাগুলোতেও সন্ধ্যা ছয়টার আগে ফুটপাতে হকার বসতে দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার নগর ভবনে ধানমন্ডি পুরাতন ২৭ নম্বর মোড় থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত সড়কের ডিজাইন ও মডেল প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মেয়র খোকন। ঢাকার গুরুত্বপুর্ণ রাস্তাগুলো কেমন হওয়া উচিত, এই বিষয়ে এই নকশা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। যৌথ ভাবে ‘দেশের ওয়ার্কস’ ও ‘লাইন্স আর্কিটেক্টস’ নামের দুটি সংগঠন প্রথম স্থান অর্জন করে।
হকারদের ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্যেও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে কর্মদিবসে গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকায় ফুটপাতে হকারদেরকে বসতে দেয়া হচ্ছে না। নতুন পদ্ধতিতে তারা অফিস ছুটি শেষে সন্ধার পর ফুটপাতে বসতে পারে। এ ছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় তারা বসতে পারেন। এগুলো হলিডে মার্কেট হিসেবে পরিচিত।
এর আগে হকার উচ্ছেদে নেয়া পদক্ষেপ বারবার ব্যর্থ হলেও এবার সিটি করপোরেশনের কঠোর অবস্থানের কারণে এই এলাকায় পথচলার ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে। এবার অন্য এলাকাতেও একই পদ্ধতিতে হকারদের বসতে দেয়ার পরিকল্পনার কথা বলেন মেয়র খোকন। তিনি বলেন, ‘গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকার ফুটপাত-সড়কের অবৈধ দখল যেভাবে মুক্ত করেছি, তেমনি শহরের অন্যন্য এলাকার ফুটপাতও দখলমুক্ত করা হবে।’
গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকার ফুটপাত ও সড়কে অবৈধ দোকান বসিয়ে সেখান থেকে চাঁদাবাজি চলছে বলেও জানান মেয়র। বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ৭২ জন চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপও নেওয়া শুরু করেছি।’
চাঁদাবাজদের সামাজিক ভাবে বয়কটের আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘তাদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থেকে দূরে থাকুন। তাদের সাথে মেলামেশা বন্ধ করে দিন। দেখবেন তারা ভাল হতে বাধ্য হবে।’
মেয়র জানান, মূল সড়কগুলোতে আগামী জুনের মধ্যেই এলইডি বাতির ব্যবস্থা করা হবে। সেইসঙ্গে জনগণের সেবায় রাস্তার পাশে ওয়াইফাই জোন, মোবাইল চার্জার পয়েন্ট, পাবলিক টয়লেটসহ নানা সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মেয়র।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সিটি করপোরেশন যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে তার সুফল এবার নগরবাসী পাবে বলেও জানান মেয়র খোকন। বলেন, ‘একবারের জন্য বৃষ্টি হতে দিন, দেখবেন শান্তিনগড়ে কোন জলাবদ্ধতা খুঁজে পাবেন না।’
মেয়র বলেন, ‘শান্তিনগড়, পুরান ঢাকা, কাঁঠালবাগান এলাকায় আগে দুর্বল ড্রেনেজ সিস্টেমের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হত। বর্তমানে আমরা শান্তিনগড় এলাকায় ড্রেনেজ সিস্টেমের বিশ কিছু উন্নয়ন করেছি।’
