বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীর স্বজনকে মারধরের ঘটনার জেরে কর্মবিরতি পালন করছেন । নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে তারা বিক্ষোভও করেছেন। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
এদিকে সোমবার সকালে হাসপাতালের ক্যানসার ইউনিটের রোগী বসার রুম লক্ষ করে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল ভবনের পশ্চিম উত্তর কোণে অবস্থিত ক্যানসার ইউনিটের ওয়েটিং রুমে রোগী ও তাদের স্বজনরা অপেক্ষা করছিল। হঠাৎ করেই সেখানে গুলির শব্দ শোনা যায়। এসময় সেখানকার জানালার কাচে একটি গুলি লেগে তা ফুটো হয়ে যায়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। গুলির শব্দে সেখানে থাকা নারী, শিশু ও রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছে এটি গুলির ঘটনা কি না তা পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে তারা বলতে পারবে না।
রবিবার ডা. নাজ নামের এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে ‘আপা’ সম্বোধন করায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কোনাগাতি গ্রামের আব্দুর রউফ সরকার নামের এক যুবককে দফায় দফায় মারধর এবং কানধরে উঠবস করান চিকিৎসকরা। ওই ঘটনার পর হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনরা ভাঙচুর করেন। এর জেরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাত দফা দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডাক্তাররা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা নিজেদের নিরাপত্তা, প্রত্যেক ইউনিটের সামনে দুইজন করে আনসার সদস্য নিয়োগ, হাসপাতাল ফাঁড়িতে একজন টিএসআই নিয়োগসহ সাত দফা দাবি জানান। দাবি আদায় না হলে হাসপাতালের পরিচালক উপপরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেন।
এদিকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে দূরদূরান্ত থেকে আসা শত শত রোগী ভোগান্তিতে পড়েন। তারা শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বাধ্য হয়ে চিকিৎসা নিতে যান।অনেককে হাসপাতালের বাইরে বসে আর্তনাদ করতে দেখা গেছে।
শিবগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক বয়স্ক নারী আছিয়া বেগম ঢাকাটাইমসকে জানান, তার স্বামী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে ডাক্তারদের মিছিল এবং হাসপাতালের গেটে ঢুকতে না পেরে হতাশায় ভুগছেন। পরে তার স্বামীকে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন ঢাকাটাইসকে জানান, হাসপাতালের পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। সকালে গুলির বিষয়ে তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলির কোনো চিহ্ন দেখতে পায়নি।
