প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে মেয়েদের শিক্ষাবৃত্তির টাকা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করে তার সরকার দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে দেশকে একটি শিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রূপালি ব্যাংকের ‘শিওর ক্যাশে’র সাহায্যে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
একটি ট্যাবে প্রধানমন্ত্রী সুইচ চাপার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের ১ম থেকে ৮ম শ্রেণীর ১ কোটি ৩০ লাখ শিশুর মায়েদের হাতে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যায়। ‘মায়ের হাসি’ নামক এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৬শ’ কোটি টাকা।
প্রতি মাসে ১ কোটি ৩০ লাখ মায়ের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পৌঁছে যাবে। মায়েরা ‘শিওর ক্যাশ’-এর এজেন্টের মাধ্যমে এই টাকা তুলে নিতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, মায়েদের যাদের হাতে মোবাইল ফোন নেই তাদের জন্য ২০ লাখ সিম এবং ২০ টাকা ফ্রি টক-টাইম দেয়ার জন্য চুক্তি করেছে ‘টেলিটক’। ‘আমরা তাদের হাতে মোবাইল ফোনও পৌঁছে দিচ্ছি। অর্থাৎ এখন সবার হাতেই মোবাইল ফোন এবং এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা চলে যাচ্ছে। টাকা তোলার জন্য কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না, দূরে যেতে হচ্ছে না। ঘরে বসেই টাকার খবরটা পেয়ে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, এই টাকার যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ‘আমি এজন্য আনন্দিত যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজকে বাস্তব। এর সুফলটা আজ গ্রামের মানুষ পাচ্ছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পাচ্ছে। এটা সবথেকে বড় অর্জন।’
‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে ১ কোটি ২০ লাখ মায়েদের কাছে আজ উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন: অভিভাবকদের প্রতি আমি আর একটা আবেদন করবো- নিজেদের ছেলেমেয়েরা যেন মন দিয়ে লেখাপড়া করে সেদিকে আপনারা যেমন খেয়াল রাখবেন তেমনি ছেলে-মেয়ে যেন বিপথে না যায়, ছেলেবেলা থেকেই সেভাবে তাদের গড়ে তুলবেন। তারা যেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারে, দেশকে ভালবাসতে পারে, মানুষের জন্য তাদের মানসিকতা যেন এমনভাবে গড়ে ওঠে যে দেশটা নিজের সেই বোধ যেন গড়ে ওঠে যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভবিষ্যতে এদেশ গড়ে ওঠে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়তে পারি।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান স্বাগত বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে মোবাইলে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের ওপর একটি ভিডিও পরিবেশন করা হয়।
সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, রংপুরের পীরগঞ্জ এবং দিনাজপুরের পার্বতীপুরের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে সরাসরি যুক্ত হয়ে মতবিনিময় করেন।
