বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিস্তার পানি বণ্টনে চুক্তি না হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের অর্থ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন । তিনি দাবি করেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণেই এই চুক্তি আটকে আছে।

বুধবার সকালে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ফখরুল। জিয়া পরিষদের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে নেতা-কর্মীদেরকে নিয়ে সেখানে যান তিনি।

আগামী মাসের শুরুতে চার দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত নানা বিষয়ে চুক্তির কথা আলোচনা হচ্ছে গত কয়েক দিন ধরেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেন, এই সফরেই দুই দেশের মধ্যে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এই তথ্যকে উড়িয়ে দিয়ে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানান, এই সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি না হলে অন্য চুক্তি অর্থহীন।’ এই সফরে ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা বা সামরিক কোনো বিষয়ে চুক্তির বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে কোন চুক্তি দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’

জঙ্গি হামলা আগামী নির্বাচনের অন্তরায়-ওবায়দুল কাদেরের এমন একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনই তো নিশ্চিত নয়।’ জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করে সরকার লাভবান হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এ সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন,‘প্রধানমন্ত্রীর নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ায় প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র নেই। সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে জনসভা করছেন। সেখানে তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন। আর বিরোধীদলকে সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে বন্দী করে রাখছে। এতেই বোঝা যায় দেশে গণতন্ত্র ও লেভেল প্লিয়িং ফিল্ড নেই।’

২০০১ সালে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ আর আমেরিকার সহযোগিতায় ক্ষমতায় বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘তাহলে বর্তমান সরকার সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ‘র’য়ের সহযোগিতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে?’।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031