আজ থেকে চার বছর আগের কথা। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। জীবিকার তাগিদে রাতদিন হাড়ভাঙা খাটুনিতে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরান তারা। যাদের পিঠে ভর করে তর তর করে বাড়ছে দেশের জিডিপি। ভিনদেশীদের গায়ে উঠছে এদেশের তৈরি পোশাক। সেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের কতটুকু গুনছেন মালিকপক্ষ।

 প্রতিদিনের মতো সাতসকালে হাসতে হাসতে ঘরে ছেড়ে স্বপ্নের কর্মস্থলে পা দেন হাজারো শ্রমিক। কিন্তু সে যাত্রাটা যে শেষ যাত্রা হবে ভাবতে পেরেছেন কেউ। হবেই না কেনো, মৃত্যুর ফাঁদ যে আগেই পাতা ছিল। বলছিলাম স্বরণকালের সবচেয়ে মর্মান্তিক ট্রাজেডি রানা প্লাজা ধসের কথা।

সেদিন চোখের নিমিষে নিঃশেষ হয়ে যায় ১ হাজার ১৩৬ জন মানুষ। আহত হন হাজারো শ্রমিক। আহতদের অনেকেই আবার পঙ্গু। জীবন সংগ্রামের সবচেয়ে কষ্টকর দিনগুলো পার করছেন তারা। কেমন আছেন বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো? এখনও কান পাতলে শোনা যায় তাদের কান্না। শোনা যায় স্বজনদের আহাজারি।

এ দিনটি এলেই গা শিহরে উঠে। কথা থমকে যায়। লেখার হাতটা কেঁপে উঠে। তাই খুব বেশি না বলে বেদনার রঙে আঁকা সেই দিনের ভয়াবহতা ছবির মাঝে বন্দী করলাম। ছবিগুলো আজ শুধুই ইতিহাস। যা দেখলে মনের গহীনে মোচড় দিয়ে ওঠে।

তবুও মনে করা, অতীতে ফিরে যাওয়া। কারণ অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই ভবিষ্যতের পথচলা। পেরেছে গার্মেন্টস মালিকরা, রানা প্লাজার করুণ ট্রাজেডি থেকে নিজেদের শুধরে নিতে?

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031