দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার কর হবে বলে জানিয়েছেন ।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ভিশন-২০৩০ ঘোষণায় এই কথা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।
লিখিত বক্তব্যে খালেদা বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে একটি দক্ষ, স্বচ্ছ ও গতিশীল মেধাবী জবাবদিহিমূলক ও যুগোপযোগী জনপ্রশাসন গড়ে তোলা হবে। মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সংস্কার করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নারী ও প্রান্তিক নৃগোষ্ঠীর কোটা ব্যতিরেকে সব কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে। গতিশীল বিশ্বায়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংবিধানের আলোকে যথোপযুক্ত সিভিল সোসাইটি গড়ে তোলা হবে। সব পর্যায়ে ই-গভর্নেন্স চালু করা হবে। প্রশাসনে দক্ষতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’
প্রতিরক্ষার বিষয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি স্বাধীন ও সা্র্বভৌম দেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা সুরক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও সমরসম্ভারে সুসজ্জিত, সুসংগঠিত, যুগোপযুগী এবং সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা হবে। গণতান্ত্রিক সমাজের উপযোগী, সামরিক, বেসামরিক সম্পর্কের ভিত্তি ও বিন্যাস প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
খালেদা বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করা হবে। জাতীয় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা হবে।’
