২০০৭ সালের ২০ জুলাই মেসি-রোকুজ্জোর সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। এরপর ২০১০ সালে বিশ্বকাপের আগে মেসির সঙ্গে প্রথমবার বার্সেলোনায় বেড়াতে গিয়েছিলেন রোকুজ্জো। ২০১২ সালের ২ জুন আন্তোনেল্লার সন্তানসম্ভবা হওয়ার সুখবর দিয়েছিলেন মেসি। ২০১২ সালের ২ নভেম্বর মেসির প্রথম সন্তান থিয়াগোর জন্ম হয়। দ্বিতীয় সন্তান মাতেওর জন্ম ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর।
আজ রোজারিওতে মেসির বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যা ২৬০ জনের মতো। তাদের মধ্যে আছেন বিখ্যাত ফুটবলার, গায়ক, শো-বিজ তারকা এবং মেসি-রোকুজ্জোর বাল্যবন্ধুরা। জেরার্ড পিকে ও সাকিরার সঙ্গে আজ বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকার কথা লুইস সুয়ারেজ ও নেইমারেরও। মেসির বিয়েকে লাতিন আমেরিকা অন্যতম সেরা বিয়ে হিসেবে দেখা হচ্ছে। রোকুজ্জোর বিয়ের পোশাক আসবে বার্সেলোনা থেকে। যার ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত স্প্যানিশ ফ্যাশন ডিজাইনার রোসা ক্লারা। যিনি স্পেনের রানী লেতিজিয়ার বিয়ের পোশাকও তৈরি করেছিলেন। মেসির বিয়ের খাওয়া-দাওয়ার মেনুতে থাকছে বিখ্যাত লোক্রো স্টু ও এস্প্যানাদা প্যাস্টি। রোজারিওতে যা খুব জনপ্রিয়। এ ছাড়া থাকছে আর্জেন্টিনার বিখ্যাত গরুর রোস্ট।
মেসির বিয়ের অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হবে না, তা তো হয় না। বিয়ের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবে উরুগুয়ের বিখ্যাত পপ ব্যান্ড ‘রম্বাই অ্যান্ড মারামা’। গান গাইবেন সার্জিও আগুয়েরোর স্ত্রী কারিনা। শাকিরা গাইবেন কি-না এখনও নিশ্চিত নয়। মেসির বিয়েতে ১৫৫ জন সাংবাদিককে ‘অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড’ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু শর্তসাপেক্ষে। তারা বিয়ে দেখতে পারবেন কিন্তু অতিথিদের কাছে যেতে পারবেন না। মেসির প্রমোদ ভ্রমণে যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে ইসরায়েলের সেই বিশেষজ্ঞ নিরাপত্তা দলই থাকছে অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্বে।
