নিজের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনাটি ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। এর পেছনে বড় শক্তি আছে বলে ধারণা তার।
হামলার পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
মেয়র ঘটনাটির বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমিসহ ৪/৫ জন ফার্নিচারের দোকানে বসে গল্প করছিলাম। এসময় সে বলে আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা, হাসপাতালে আসেন। আমি উত্তরে বললাম, আজ যাব না কাল যাব। এ কথা বলার পর সে চলে যায় এবং কিছুক্ষণ পরে এসে আমার ওপর হামলা করে। সে কে? কী চায়, কারা তাকে পাঠালো কিছুই বুঝতে পারছি না।
মেয়র বলেন, আমার মনে হয় এর পেছনে বড় কোনো শক্তি আছে। তা নাহলে এতবড় সাহস সে পাবার কথা নয়। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন মেয়র ঝন্টু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় মেয়রের সঙ্গে থাকা পুলিশ তার বাসায় ছিলেন। মেয়র প্রতিদিনই বিকালে ওই দোকানে বসে সময় কাটান। ওই দোকান থেকে তার বাসার দূরত্ব প্রায় ৫০ গজ।
প্রত্যক্ষদর্শী মাহবুব ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমিসহ আরও বেশ কয়েকজন মেয়রের কাছ থেকে একটু দূরে ছিলাম। হঠাৎ ছেলেটা এসে মেয়রের কলার ধরে বুকে লাথি মারে। এতে মেয়র মাটিতে পড়ে যান। এ সময় তার সঙ্গে থাকা লোকজন হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং হামলাকারী যুবককে আটকের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাকে আটক করে তারা। পরে পুলিশ ডেকে তাকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
ঘটনাস্থলে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাকে কে পাঠিয়েছে মেয়র তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করার পরও সে কোনো উত্তর দেয়নি।
নিরাপত্তাহীনতায় আছেন কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘না এই মুহূর্তে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি না।’
এদিকে একজন প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় মেয়র অনিরাপদ অবস্থায় থাকাটাকে ভালো চোখে দেখছে না নগরবাসী। তারা বলছেন, সরকার তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ দিয়েছে, সেই পুলিশকে তার কাজে লাগানো উচিত।
রংপুর কোতয়ালী থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, হামলাকারী যুবকের নাম সাদ্দাম। সে নগরীর কুকরুল এলাকায় একরামুল হকে ছেলে।
এ বিষয়ে রংপুর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ঘটনার পর আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং খোঁজখবর নেই।
এসপি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হবে। কী কারণে সে হামলা করেছে তা তদন্ত করে বের করা হবে।
