ঘর ভাঙার জন্যে যারা রাজনীতি করবে, অসুস্থ ধারার সঙ্গে যারা থাকবে, যাদের রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট হয়ে গেছে আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাদের হুঁশিয়ার করে বলেছেন। দলে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদকাসক্ত এবং আদর্শ চেতনাবিরোধীদের অন্তর্ভুক্তি থেকে নেতাদের বিরত থাকারও নির্দেশনা দেন তিনি। যশোর জেলা ছাত্রলীগের ১৭তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। আজ সোমবার সকালে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে এই সম্মেলন শুরু হয়। সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, একটি দল গত আট বছরে আট বারও রাস্তায় নামতে পারেনি। রোজা এলে বলে ঈদের পরে তারা সরকার পতনের আন্দোলন করবে। কিন্তু এ পর্যন্ত প্রায় ১৭টি ঈদ পার হলেও তারা আন্দোলনের দিনক্ষণই ঠিক করতে পারেনি। তিনি বলেন, এখন আষাঢ় মাস। এ মাসে তর্জন-গর্জন হয়। তাদের আন্দোলনের ডাক আষাঢ়ে তর্জন-গর্জনেই সীমাবদ্ধ; এ কারণেই তাদের কেবল কান্নাকাটি। বিএনপির নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে ব্যর্থতা আর হতাশার কথা উল্লেখ করে সম্মেলনের প্রধান অতিথি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দলের নেতা-কর্মীদের জন্যে এখন শুধুই কান্নাকাটি করেন। কর্মীদের দুঃখ তার সহ্য হয় না। চোরাগোপ্তা হামলা হয়েছে তার ওপরে; কিন্তু তিনি আহত হননি। তিনি বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ করে বলেন, মির্জা সাহেব আপনি কাঁদছেন। ২০০১ সালের শাসনামলের সেই কান্নার সঙ্গে আপনার আজকের কান্না মিলিয়ে দেখুন। আপনি যে কান্না করছেন, সেটি মায়াকান্না। রাজনীতিতে মায়াকান্না আর কুম্ভিরাশ্রু বিষয়টি আছে। অবিলম্বে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সদস্য সংগ্রহে আমাদের প্রথম টার্গেট তরুণ সদস্য, এরপর নারী সদস্য। সেভাবে আপনারা সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করুন। একই সঙ্গে বিএনপি জামাত সমর্থকরা যেন এই স্্েরাতে দলের মধ্যে ঢুকে পড়তে না পারে সে বিষয়ে সকলকে সকর্ত থাকার পরামর্শ দেন। তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে বলেন, এখানেই কমিটি ঘোষণা করে দিয়ে যাও। তা না হলে ঘাটে ঘাটে অছাত্র, দুর্বৃত্তরা ঢুকে পড়বে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, আলহাজ শেখ আফিলউদ্দিন, অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, রণজিৎ রায়, স্বপন ভট্টাচার্য্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল প্রমুখ।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
