আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা নিয়ে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন । বৃহস্পতিবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী এই কথা জানান। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পরিচিতি সভা ও কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সেটা তারা চায়। আমি সেটা দিতে পারি না। এজলাসের চেয়ারে বসে এসব কথা উনার বলার দরকার নেই।
গতকাল রবিবার আপিল বিভাগ আইন মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বিধিমালার খসড়া গ্রহণ না করে বৈঠকের বসার কথা বলেন আইন মন্ত্রণালয়কে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আজ দুপুর ২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত যেকোনো সময় এ বৈঠক হতে পারে। বৈঠকে আপিল বিভাগের সব বিচারপতি, আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যেকোনো ব্যক্তি ওই বৈঠকে থাকতে পারেন। একইসঙ্গে আগামী রবিবার মামলাটির শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
ওই বছরের ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানায়, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়।
