বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ৫ই অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকাকে অবমাননা ও মানহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায়। ওই দিন যদি খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে। রবিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী এই আদেশ দেন। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে কি না- এ বিষয়ে আদেশের জন্য গতকাল দিন ধার্য ছিল।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩রা নভেম্বর এই মামলা দায়ের করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। বিএনপির প্রতিষ্টাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত জিয়াউর রহমানকেও এ মামলায় আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৮১ সালের ১৭ই মে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে জিয়াউর রহমান তাঁকে হুমকি দেন ও অবরুদ্ধ করে রাখেন। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করেন। খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর নেতা-কর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তাদের বাড়িতে এবং গাড়িতে তুলে দেন। এর দ্বারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার অবমাননা ও মানহানি করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত তেজগাঁও থানা-পুলিশকে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে চলতি বছরের ২৫শে ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করে। তবে, প্রতিবেদনে প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। পরে ২২শে মার্চ এই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। গতকাল আদালতের আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবা মানবজমিনকে বলেন, আদালত ৫ই অক্টোবর খালেদা জিয়াকে হাজিরের আদেশ দিয়েছেন। আসলে এটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, অনেকটা সমন জারির মতো। তিনি জানান, ফৌজদারি আইনে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায়না তাই এই মামলা থেকে জিয়াউর রহমানকে আদালত অব্যাহতি দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার অন্য আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, এই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বললেও বেগম খালেদা জিয়া এসব মামলায় এখন পর্যন্ত হাজির হননি। ভবিষ্যতেও হবেন কিনা তা তিনি (খালেদা জিয়া) দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছেনা। তিনি বলেন, এগুলো ভ’য়া মামলা। যিনি (এ বি সিদ্দিক) এ মামলা করেছেন তার মামলা করার অধিকারই নেই।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031