বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।’

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘রো‌হিঙ্গা সমস্যা সমাধান কোন পথে ও বর্তমান ও প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন কেউই বাংলাদেশের পাশে নেই এমন মন্তব্যের পাশাপাশি সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন মোশাররফ হোসেন। বলেন, ‘কূটনৈতিক ব্যর্থতা এখান থেকেই শুরু হয়েছে। জাতিসংঘে গিয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমেরিকার সাহায্য দরকার নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী ভুল করেছিলেন। এ কারণেই বিশ্বনেতারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। চীন, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন কেউই এখন বাংলাদেশের পাশে নেই।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বেশি দিন বাংলাদেশে থাকলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিবে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতে পারে।’ তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে সংকটের দায় এড়াতে পারবেন না সরকার। যদি প্রথম থেকেই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হতো তাহলে এই সংকট এত প্রকট আকার ধারণ করতো না।

মানবিক কারণেই আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছি। তবে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে কথা বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলেছে। প্রধান বিচারপতি অসুস্থ নয়। তাকে অসুস্থ বানিয়ে জোর করে ছুটিতে যেতে বাধ্য করেছে। প্রধান বিচারপতি পূজায় গিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়া অ্যাম্বাসিতে গিয়েছিলেন। তবে তিনি কিভাবে অসুস্থ?’

জাগপা’র ভারপ্রাপ্ত সভাপ‌তি অধ্যা‌পিকা রেহানা প্রধান ব‌লেন, ‘আজকে আমাদের সবাইকে মাঠে নামতে হবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে জোরদার আন্দোলন করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এ সংকট থেকে মুক্ত হতে সবাইকে আহবান জানাই’।

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন জাগপা’র ‌সি‌নিয়র সহ-সভাপ‌তি ব্যা‌রিস্টার তাস‌মিয়া প্রধান, সহ-সভাপ‌তি এম এ মান্নান, জাতীয় পা‌র্টির সহ-সভাপ‌তি মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031