আমাদের মানবিক হতে হবে, একইসঙ্গে নিজ দেশের মানুষের নিরাপত্তার কথাও ভাবতে হবে ঢাকা সফররত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যমত সাধারন সম্পাদক রাম মাধব রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বলেছেন, ‘।’ তিনি আরো বলেছেন, রোহিঙ্গা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে। বাংলাদেশ চাইলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঙ্কট মোকাবিলায় যে কোন সহযোগিতা দেবেন। এ সময় ভারতকে বাংলাদেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বেস্ট ফ্রেন্ড বা ভাল বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। রোববার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে নদী বিষয়ক দুই দিনের উৎসবে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ভারতীয় রাজনীতিক এসব কথা বলেন। বক্তৃতায় তিনি বলেন, সীমান্ত আমাদের বিভক্ত করেছে কিন্তু অভিন্ন নদী আমাদের বন্ধন ধরে রেখেছে। তিনি বলেন, আমাদের মানবিক হতে হবে, একইসঙ্গে নিজ দেশের মানুষের নিরাপত্তার কথাও ভাবতে হবে। বাংলাদেশ ভারত দুটি দেশই উদ্বাস্তু সমস্যা সম্পর্কে জানে। আমরা দুটি দেশই এ সমস্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তাই দুই দেশকে একসঙ্গে মিয়ানমারকে এ সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে নেয়ার কথা জানাতে হবে। বুদ্ধর যে আদর্শ মিয়ানমারের মানুষের মাঝে বিরাজমান ছিল সেই আদর্শকে রাষ্ট্রের কর্মকা-ে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানাতে হবে। রাম মাধব বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুটি দেশই সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ দ্বারা আক্রান্ত। বৈশি^কভাবে এ সমস্যা চলমান আর আমরা তার ভুক্তভোগী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পথচলায় ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে এবং থাকবে। বাংলাদেশ সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু সন্ত্রসবাদ মোকাবেলাই নয় দারিদ্র আমাদের বড় সমস্যা। এমনি সব সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে পাশাপাশি চলবে। কারণ ভারত ও বাংলােেদশর সম্পর্ক শুধু রাজনীতিক, গণতান্ত্রিক আর অর্র্থনৈতিক সম্পর্কের ওপরে নির্ভরশীল নয়, এটা সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় দুই দিনের নদী উৎসব-২ এ প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এস এম মাহমুদ আলী, বিশেষ অতিথি হিসাবে বিজেপির সাধারন সম্পাদক ও ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক রাম মাধব ছাড়াও ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য রাজীব ভাটিয়া, বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেল শহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আরেফিন, সব্যসাচী দত্ত প্রমুখও আলোচনায় অংশ নেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নদী নিয়ে এ আয়োজন দুই দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি। অভিন্ন নদীসমূহ দুই দেশের মানুষ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নদী ও নদী তীরবর্তী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন নদীসমূহে আন্তদেশীয় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা দ্বিপক্ষীয়ভাবে এগিয়ে নিতে হবে। ‘এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স রিভার ফেস্টিভ্যাল’ শীর্ষক এ উৎসবের যৌথভাবে আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়, ট্যুরিজম বোর্ড, ভারতীয় হাই কমিশন ও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ। এছাড়া উৎসবকে ঘিরে এতে নদী বিষয়ক প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
