গণপরিবহনগুলোর মধ্যে সেরা লোকাল সার্ভিস হিসেবে ৩, ৬, ৭, ৮ নম্বর ও তুরাগ বাস প্রসিদ্ধ এটা সরার জানা রাজধানীতে চলাচলকারী। এসব বাসে সিট থাকলে জানালা থাকেনা, জানালা থাকলেও ভালো থাকেনা গাড়ির বডি। কখনো সব ফিটফাট দেখা গেলেও অর্ধেক পথে গিয়ে থেমে যায়। কারণ ইঞ্জিনে থাকে গন্ডগোল। আবার এসব গাড়ির অকেটারই লাইসেন্স না থাকায় প্রায়ই বাস আটকে জরিমানা করতে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশকে। সম্প্রতি রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস নামের কিছু বাস সার্ভিসের আবির্ভাব হয়েছে।
শুরুতে এই সার্ভিস সৌখিন রাজাধানীবাসীর জন্য কিছুটা সহায়ক হলেও এখন সবার গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ গঠনগত কোনো পরিবর্তন ছাড়াই শুধু সামনে-পেছনে ‘সিটিং সার্ভিস, গেটলক সার্ভিস, ননস্টপ সার্ভিস বা কম স্টপিজ সার্ভিস’ লোখা স্টিকার লাগিয়ে রাতারাতি স্পেশাল সার্ভিস বনে গেছে। এসব বাস একদিকে যেমন যাত্রীদের জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। অন্যদিকে কম দূরত্বের যাত্রীদের বাসে না তুলে হয়রানি করছে। এসব বাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদের থেকে হাফ ভাড়া না নেয়া, সিটিং ভাড়া নিয়েও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা, যাত্রীদের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করা ও কখনো যাত্রীদের গায়ে হাত তোলার মতো অভিযোগও উঠছে অহরহ।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এবং শিক্ষার্থী ও যাত্রী অধিকার সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংগঠনের টানা আন্দোলনে চাপের মুখে সিটিং সার্ভিস বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন যোগাযোগমন্ত্রী। এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৬ই এপ্রিল সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেয় ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। কিছুদিন তারা এসব পরিবহনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে পরে সংবাদ সম্মেলন করে পরিবহন সমস্যা সমাধানের জন্য কিছুদিন সময় চান যোগাযোগমন্ত্রী। ৩ মাসের মধ্যে রাজধানীতে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা চালুর আশ্বাসও দেন দুই মেয়র। কিন্তু ৬ মাসের বেশি হলেও সেই আশ্বাস আর আলোর মুখ দেখেনি। অপরদিকে এখনো নিজেদের অবস্থানে অটল রয়েছে এসব সিটিং সার্ভিসের মালিক-শ্রমিকরা। শুধু অটল নয়, এখন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা।
রাজধানীসহ সারাদেশের গণপরিবহনগুলোর নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় রয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। তাদের দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, গণপরিবহনে প্রতি কিলোমিটার যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের গুনতে হবে ১.৭০ টাকা। সেই হিসেবে ১১.০৩ কিলোমিটার দূরত্বে ফার্মগেট থেকে যাত্রাবাড়ীর ভাড়া হয় ১৭ টাকা। অথচ এই রুটে চলাচলকারী মেশকাত, খাজাবাবা, ৮ নম্বর সিটিং, এটিসিএল ও লাব্বাইকসহ কয়েকটি পরিবহন হাতিয়ে নিচ্ছে সর্বনিম্ন ২০ থেকে ৩০ টাকা। শুধু ফার্মগেটের যাত্রীদের থেকে ২০ টাকা নেয়া হলেও বলা যেত তিন টাকা বেশি নিয়েছে, এটা সামান্য। কিন্তু সমপরিমাণ ভাড়া নেয়া হচ্ছে শাহবাগ, বাংলামটর বা কারওরান বাজারের যাত্রীদের থেকে। আবার শিখরসহ কয়েকটি বাস যেখানেই যান মিরপুরের ভাড়া আদায় করছে। একই চিত্র উত্তরা-পোস্তগোলা সড়কের রাইদা পরিবহনে। তারা মালিবাগ থেকে বাসাবো পর্যন্ত মাত্র ৩ কিলোমিটার যাতায়াতের জন্য ভাড়া আদায় করছে ১৫ টাকা। আজিমপুর রোডের উইনার, ঠিকানা, ভিআইপি-২৭ বাসের ভাড়াও গলাকাটা। ভিআইপি-২৭ নম্বরে উঠলেই তাই ৪০ টাকা ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের। এছাড়া, নূর এ মক্কা, ল্যামস, জাবালে নূর, জাবালে তূর, বিহঙ্গ, সময় নিয়ন্ত্রণ, আয়াত, মনজিলা, ভিক্টোরিয়াসহ নানা নামে ব্যাঙের ছাতার মতো গজে উঠেছে অসংখ্য সিটিং সার্ভিসের নামে চিটিং সার্ভিস। যারা কোনো প্রকার স্টপিজ ছাড়া ও টিকিটবিহীন ইচ্ছেমতো যাত্রী তুলছে। অথচ সিটিং বা স্পেশাল সার্ভিস বলে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। অথচ এসব বাসের নেই যথাযথ ফিটনেস, থাকে না ফ্যান, জানালা, আসন এবং লাইসেন্সও। তবুও কোন বৈশিষ্টে, কার শক্তিতে এরা সিটিং বাস দাবি করে জনগণের পকেট কাটছে এ প্রশ্নের জবাব মিলে না কারো কাছেই।
কেন বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে মালিক-শ্রমিকরা বলছে, স্পেশাল সেবার বিনিময়ে তারা বাড়তি কিছু আশা করতেই পারেন। এটা অপরাধের কিছু না। তবে তাদের এমন দাবির বিপরীতে বিআরটিএ বলছে, রাজধানীতে সিটিং বাস বলতে কোনো পরিবহনের অনুমোদন দেননি প্রতিষ্ঠানটি। বিআরটিএ আরো বলছে, গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণের সময় সিট প্রতি যাত্রী হিসেব করেই তারা ভাড়া নির্ধারণ করেন এবং দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কোনো অনুমতি নেই। এই অবস্থায় সিটিং বলে কোনো সেবাই থাকতে পারে না। তাই বাড়তি ভাড়া নেয়াকে সাপোর্ট করার তো কোনো যুক্তি নেই। বিআরটিএ সিটিং সার্ভিসের অনুমোদন দেয়নি, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীও এই নৈরাজ্যের বিপক্ষে। তার পরও বেআইনি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বাস মলিকরা। এমন অবস্থায় নগরবাসীর একটাই প্রশ্ন সরকার যদি এই নৈরাজ্যের লাগাম না টেনে ধরে তাহলে কে নিয়ন্ত্রণ করবে এদের?
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এবং শিক্ষার্থী ও যাত্রী অধিকার সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংগঠনের টানা আন্দোলনে চাপের মুখে সিটিং সার্ভিস বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন যোগাযোগমন্ত্রী। এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৬ই এপ্রিল সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেয় ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। কিছুদিন তারা এসব পরিবহনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে পরে সংবাদ সম্মেলন করে পরিবহন সমস্যা সমাধানের জন্য কিছুদিন সময় চান যোগাযোগমন্ত্রী। ৩ মাসের মধ্যে রাজধানীতে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা চালুর আশ্বাসও দেন দুই মেয়র। কিন্তু ৬ মাসের বেশি হলেও সেই আশ্বাস আর আলোর মুখ দেখেনি। অপরদিকে এখনো নিজেদের অবস্থানে অটল রয়েছে এসব সিটিং সার্ভিসের মালিক-শ্রমিকরা। শুধু অটল নয়, এখন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা।
রাজধানীসহ সারাদেশের গণপরিবহনগুলোর নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় রয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। তাদের দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, গণপরিবহনে প্রতি কিলোমিটার যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের গুনতে হবে ১.৭০ টাকা। সেই হিসেবে ১১.০৩ কিলোমিটার দূরত্বে ফার্মগেট থেকে যাত্রাবাড়ীর ভাড়া হয় ১৭ টাকা। অথচ এই রুটে চলাচলকারী মেশকাত, খাজাবাবা, ৮ নম্বর সিটিং, এটিসিএল ও লাব্বাইকসহ কয়েকটি পরিবহন হাতিয়ে নিচ্ছে সর্বনিম্ন ২০ থেকে ৩০ টাকা। শুধু ফার্মগেটের যাত্রীদের থেকে ২০ টাকা নেয়া হলেও বলা যেত তিন টাকা বেশি নিয়েছে, এটা সামান্য। কিন্তু সমপরিমাণ ভাড়া নেয়া হচ্ছে শাহবাগ, বাংলামটর বা কারওরান বাজারের যাত্রীদের থেকে। আবার শিখরসহ কয়েকটি বাস যেখানেই যান মিরপুরের ভাড়া আদায় করছে। একই চিত্র উত্তরা-পোস্তগোলা সড়কের রাইদা পরিবহনে। তারা মালিবাগ থেকে বাসাবো পর্যন্ত মাত্র ৩ কিলোমিটার যাতায়াতের জন্য ভাড়া আদায় করছে ১৫ টাকা। আজিমপুর রোডের উইনার, ঠিকানা, ভিআইপি-২৭ বাসের ভাড়াও গলাকাটা। ভিআইপি-২৭ নম্বরে উঠলেই তাই ৪০ টাকা ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের। এছাড়া, নূর এ মক্কা, ল্যামস, জাবালে নূর, জাবালে তূর, বিহঙ্গ, সময় নিয়ন্ত্রণ, আয়াত, মনজিলা, ভিক্টোরিয়াসহ নানা নামে ব্যাঙের ছাতার মতো গজে উঠেছে অসংখ্য সিটিং সার্ভিসের নামে চিটিং সার্ভিস। যারা কোনো প্রকার স্টপিজ ছাড়া ও টিকিটবিহীন ইচ্ছেমতো যাত্রী তুলছে। অথচ সিটিং বা স্পেশাল সার্ভিস বলে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। অথচ এসব বাসের নেই যথাযথ ফিটনেস, থাকে না ফ্যান, জানালা, আসন এবং লাইসেন্সও। তবুও কোন বৈশিষ্টে, কার শক্তিতে এরা সিটিং বাস দাবি করে জনগণের পকেট কাটছে এ প্রশ্নের জবাব মিলে না কারো কাছেই।
কেন বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে মালিক-শ্রমিকরা বলছে, স্পেশাল সেবার বিনিময়ে তারা বাড়তি কিছু আশা করতেই পারেন। এটা অপরাধের কিছু না। তবে তাদের এমন দাবির বিপরীতে বিআরটিএ বলছে, রাজধানীতে সিটিং বাস বলতে কোনো পরিবহনের অনুমোদন দেননি প্রতিষ্ঠানটি। বিআরটিএ আরো বলছে, গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণের সময় সিট প্রতি যাত্রী হিসেব করেই তারা ভাড়া নির্ধারণ করেন এবং দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কোনো অনুমতি নেই। এই অবস্থায় সিটিং বলে কোনো সেবাই থাকতে পারে না। তাই বাড়তি ভাড়া নেয়াকে সাপোর্ট করার তো কোনো যুক্তি নেই। বিআরটিএ সিটিং সার্ভিসের অনুমোদন দেয়নি, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীও এই নৈরাজ্যের বিপক্ষে। তার পরও বেআইনি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বাস মলিকরা। এমন অবস্থায় নগরবাসীর একটাই প্রশ্ন সরকার যদি এই নৈরাজ্যের লাগাম না টেনে ধরে তাহলে কে নিয়ন্ত্রণ করবে এদের?
