ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতার বিরুদ্ধে যৌনকর্মী ব্যবহার করে এবং পুলিশ সেজে চার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা এবং চারটি মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে টঙ্গীতে । পরে ওই ব্যবসায়ীদের কাছে অভিযোগ পেয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
ওই সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নাম শফি আহমেদ শফি। তিনি টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি যুবলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলেও এই সংগঠনের কমিটিতে তার কোনো পদ নেই।
পুলিশের কাছে জমা পড়া অভিযোগ অনুযায়ী, গত শুক্রবার গভীর রাতে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি আবাসিক হোটেলে গিয়ে চার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাজধানীর কুড়িল এলাকার ব্যবসায়ী মতিউর রহমান, শাহাদাৎ হোসেন, আশরাফুল ইসলাম ও মফিজ মিয়া নরসিংদীর পলাশ যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হন। টঙ্গী গিয়ে বাস না পেয়ে তারা টঙ্গীরআজাদ আবাসিক হোটেলে উঠেন।
এই ঘটনা জানতে পেরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফি গভীর রাতে কৌশলে তাদের ওই ব্যবসায়ীদের কক্ষে দুইজন যৌনকর্মীকে পাঠান। একই সময়ে শফি ও তার সহযোগী রফিক নিজেদের পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের মারধর করে।
এ সময় চার ব্যবসায়ীর সঙ্গে ওই দুই যৌনকর্মীর ছবি উঠিয়ে টাকা দাবি করেন শফি। আর ব্যবসায়ীরা তাদের বিকাশ একাউন্ট থেকে ও এবং ব্যাংকের বুথ থেকে এটিএম কার্ড দিয়ে তুলে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এরপর তারা হোটেল থেকে বেরিয়ে এসে বিষয়টি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায় এবং টঙ্গী থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
এরপর শনিবার রাত পৌনে চারটার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেরিক স্টিফেন কুইয়া এবং টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ শফি আহমেদ শফিকে রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় টঙ্গী থানায় চারটি মামলা হয়েছে। এর আগেও শফির বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা, তুরাগ, টঙ্গী ও গাজীপুরে গোয়েন্দা বা পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই ও অপহরণের মামলা আছে।
টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার বলেন, ‘আটক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফির বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে আট থেকে ১০ টি মামলা রয়েছে।
