এটি খুবই দ্রুত ছুটে আসছে আর এটি এখন থেকে কয়েক মাসের মধ্যে- ২০১৭ সালের শেষ বা ২০১৮ সালের শুরুতে নিচে পড়বে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি-এর জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী জোনাথন ম্যাকডাওয়েল ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান-কে বলেন, এই চীনা মহাকাশ স্টেশনটি আমাদের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে আর সামনের কয়েক মাসে এটি ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পরবে।

২০১১ সালে তিয়ানগং ১ নামের এই স্টেশনটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। নিজেদের একটি বৈশ্বিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে দেখানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মহাকাশ নিয়ে চীনের থাকা বড় আশাগুলোর মধ্যে এটি ছিল একটি, বলা হয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে। দেশটির মহাকাশ সংস্থা এই স্টেশনকে ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’ হিসেবে আখ্যা দেয়। চীন এই স্টেশনে কয়েকটি অভিযানও চালায়, যার মধ্যে কিছু অভিযানে নভোচারীও ছিল।২০১৬ সালে চীনের মহাকাশ সংস্থা সিএনএসএ’র বিজ্ঞানীরা বলেন, তারা এই গবেষণাগারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন আর এটি এখন পৃথিবীর দিকে ধাবিত হওয়া শুরু করবে। এরপর স্টেশনটি অদ্ভূত আচরণ করছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা, এরপর কয়েক মাস ধরে এটি নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ থাকে। এখন মহাকাশ থেকে ধাবিত হতে থাকা এই ধ্বংসাবশেষ পড়া নিয়ে পৃথিবীর মানুষদের ঝুঁকি থাকতে পারে বলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই গবেষণাগার সাগরে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে কেউ এই দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার শঙ্কা কম। কিন্তু তারপরও মানুষ আছে এমন কোনো স্থানের কাছাকাছি এসেও দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

প্রকৌশলীরা এর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এটি কোথায় পড়বে তা নিয়ে অনুমান প্রকাশ করা কঠিন। নিচে নেমে আসলে এটি বাতাসের ধাক্কায় উড়ে চলে যেতে পারে, এমনকি বাতাসের ছোট একটি ধাক্কা এটিকে এক মহাদেশ থেকে মহাদেশে নিয়ে যেতে পারে।

নিচে পড়ার পথে এর অধিকাংশ ধ্বংসাবশেষই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুড়ে যাবে। কিন্তু শতকেজির মতো ভরের অংশগুলো আকাশ থেকে নিচে পড়বে, বলেন ম্যাকডাওয়েল।

অতীতে মহাকাশের এসব আবর্জনা পড়ে মানুষের আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031