জেনুইন সমস্যা থেকেই মনটা হালকা করতে কথাগুলো লিখলাম।অনেকের মত আমাকেও আজকের ট্র্যাফিক নিয়ে লিখতে হচ্ছে নিজের জন্যই। মনটা যদি একটু হালকা হয়। আমার ফ্রেন্ডলিস্টে অনেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আছেন, আপনাদের প্রতি অযথা কোন আক্রোশ বা ক্ষোভ নেই।
আজকাল অনেক আয়োজনের জন্য রাস্তাঘাট বন্ধ থাকলে পুলিশ/ট্র্যাফিক দপ্তর আগেভাগেই জানিয়ে রাখেন। আজকে যে ছাত্রলীগের কারণে বহু রাস্তা অচল হতে পারে, এই ঘোষণা না দেবার ব্যর্থতা কার? আমার বৃদ্ধা মা, লিলি চৌধুরীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ সংবর্ধনা দিতে ডেকেছেন আজকে। বনানী থেকে টিএসসি যেতে তাঁর সময় লেগেছে প্রায় তিন ঘণ্টা, ফিরতেও হয়তো সেরকম লাগবে। যেখানে অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি সর্বসাকুল্যে দুই ঘণ্টাও নয়। থেমে থাকা রাস্তায় হাঁটাও তো তাঁর পক্ষে সম্ভব না। আগে জানলে অনুষ্ঠানে যাওয়ার চেষ্টাই করতেন না।
সকাল নয়টা থেকে প্রস্তুতি শুরু, সন্ধ্যা ছয়টায় বাড়ি ফেরা হয় কি না সন্দেহ। আর সবার কথা বাদ দিলাম, বুড়ো আর অসুস্থ মানুষগুলোকে এই কষ্ট না দিলে চলত না? কদিন ধরে চলবে শহর অচল রেখে ছাত্রলীগ উৎসব? রাস্তা দখলের কারণে যারা আজ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত ছাত্রলীগের।
লেখক: শহীদ মুনির চৌধুরীর ছোট ছেলে
