হাইকোর্ট ২০০৮ সালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুড়িপোল গ্রামের সাত বছর বয়সী শিশু আল্পনা খাতুনকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মহেশপুর উপজেলার কুড়িপোল গ্রামের কাসেম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম এবং একই গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে আরিফ হোসেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ খান, সৈয়দা সাবিনা আহমেদ, মারুফা আক্তার শিউলি। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আফিল উদ্দিন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল বলেন, ২০০৮ সালে ঝিনাইদহের মহেশপুরে সাত বছরের শিশু আল্পনাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে আসামিরা। ওই মামলায় ২০১১ সালে বিচারিক আদালত দুই আসামিকে ফাঁসির দণ্ড দেন। আজ আদালত সেই দণ্ডকে বহাল রাখেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৬ জুন কুড়িপোল গ্রামের তোরাব আলীর শিশুকন্যা আল্পনা খাতুন স্থানীয় নাটিমা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে সাইফুল ও আরিফ তাকে অপহরণ করে পাশের শিবনন্দপুর গ্রামের মসিউর রহমানের পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। এ সময় শিশু আল্পনার দুই চোখ নির্মমভাবে উপড়ে ফেলা হয়।

পরদিন মহেশপুর থানা পুলিশ শিশু আল্পনার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আল্পনার বাবা তোরাব আলী মহেশপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ সাইফুল ও আরিফের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এছাড়া অভিযুক্তরাও আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

২০১১ সালে ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান খান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।  রায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০৩ এর ৯ (৩) ধারা মোতাবেক সাইফুল ও আরিফকে দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার তাদের ফাঁসির আদেশ দেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031