fat-2_107126এলার্ট নিউজ প্রতিনিধি : অতিরিক্ত মেদ থাকায় স্বামীকে পছন্দ করত না স্ত্রী। সেই সঙ্গে যৌনতাতেও পারদর্শী ছিলেন না তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় প্রতিদিন দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত।স্থূলকায় চেহারার জন্য স্ত্রী তাকে ‘মোটা হাতি’ বলে খেতাব দেয়।
এ ঘটনা সবশেষে আদালত পর‌্যন্ত গড়ায়। স্ত্রী ‘মোটা হাতি’ বলায় বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করলেন স্বামী। আর তার এ আবেদনই মঞ্জুর করে দিল্লির আদালত।
যদিও এই মামলায় তার জয়যাত্রার শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে। ‘মোটা হাতি’ সর্বনামে ভূষিত হয়ে মামলায় ওই বছরেই তার পক্ষে রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। এরপর আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পালটা মামলা করেছিল তার স্ত্রী। কিন্তু বছর চারেক পরে শেষ হাসি হাসলেন ‘মোটা হাতি’ সর্বনামের পতিই। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘীর রায় অনুযায়ী, কাউকে ‘মোটা হাতি’ বলা বা তার শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে কটাক্ষ করা আত্মসম্মান আঘাত করার সামিল।
এ মামলায় ওই ব্যক্তির তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তাকে মাঝে মাঝেই মারধর করত তার স্ত্রী। কখনও বা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিত। একই সঙ্গে বধূনির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকিও তাকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়, ২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই ব্যক্তি যৌন সঙ্গমের জন্য উদ্যত হলে তার গোপনাঙ্গে আঘাত করে তার স্ত্রী।

সব অভিযোগ ভালো করে খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত মহিলার আবেদন খারিজ করে বিবাহবিচ্ছেদের পক্ষেই রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

Share Now
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930