পুলিশ (জিআরপি) এবং পূর্ব রেলওয়ে আলাদা আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে চালু মৈত্রী এক্সপ্রেসে সোমবার এক বাংলাদেশি নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গভর্ণমেন্ট রেলওয়ে । আজ মঙ্গলবারই অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ অফিসার রবি মহাপাত্র এই খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, শ্লীলতাহানির ঘটনায় যে এফআইআর হয়েছে তার ভিত্তিতে রেল পুলিশ তদন্ত শুরু করছে। পূর্ব রেলওয়েও পৃথকভাবে তদন্ত করছে। গতকাল রাতেই নির্যাতিতা নারীর করা এফআইআর নিয়ে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে দমদম জিআরপিকে। রেল পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, যেহেতেু ঘটনাটি দমদম ও বারাকপুরের মধ্যে ঘটেছে তা দমদম জিআরপি তদন্ত করছে।
অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানকে চিহ্নিত করার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পরে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার সকাল সোয়া সাতটা নাগাদ কলকাতা স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর এক বাংলাদেশি নারী যাত্রী শৌচাগারে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক বিএসএফ জওয়ান তার শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী। গত ১৯শে জানুয়ারি ঢাকা থেকে কলকাতায় সপরিবারে বেড়াতে এসেছিলেন মহিলা। এ দিন তারা ফিরছিলেন। ফার্স্ট ক্লাস এসি কামরায় (এ-১) যাচ্ছিলেন ওই নারী। তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী, সন্তান ও দেবর। নির্যাতিতা মহিলার স্বামী ট্রেনের টিকিট পরীক্ষককে ঘটনাটি লিখিতভাবে জানান। এরপরে গেদে স্টেশনে গাড়ি থামলে জিআরপির কাছে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এতদিন মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্ব গভর্ণমেন্ট রেল পুলিশ (জিআর পি) ও রেলওয়ে প্রটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) পালন করলেও গত নভেম্বর থেকে চলন্ত মৈত্রী ট্রেনের নিরাপত্তার ভারত সরকার বিএসএফকে নিয়োগ করেছে। তবে সোমবারের ঘটনা নিয়ে যাত্রীদের আতঙ্কিত না হবার আবেদন জানিয়েছে রেল।
