সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল বাতিল চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্পিকার, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সচিব, প্রধানন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিবকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন । আজ বুধবার সকালে এই নোটিস পাঠান তিনি।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল বা প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে আদালতে রিট করবো।
নোটিসে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল মো. আব্দুল হামিদ বর্তমান সংসদের দ্বারা দেশের ২০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেই হিসাবে চলতি বছরের ২৪শে এপ্রিল তার মেয়াদ পূর্ণ হবে।
কিন্তু সংবিধানের ৫০(১) এ বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে, প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহার উত্তরাধিকারী-কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।’ আবার সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ক্ষেত্রমত প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কিংবা প্রেসিডেন্ট পুনরায় স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্পিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করিবেন।’
এছাড়াও সংবিধানের ১২৩(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, যে সংসদের দ্বারা তিনি নির্বাচিত হইয়াছেন সেই সংসদের মেয়াদকালে প্রেসিডেন্টর কার্যকাল শেষ হইলে সংসদের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অনুরূপ শূন্য পদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে না এবং অনুরূপ সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্টর শূন্য পদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘সংবিধানের এসব অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তা সংবিধানের ৩১, ৫০, ৫৪ অনুচ্ছেদেরে সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। তাই ঘোষিত তফসিল বাতিলযোগ্য।
