পুলিশ বঙ্গভবনের সামনে ‘অকারণে’ কিশোরীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এবার পথ শিশুর কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেয়ার অভিযোগে সমালোচনায় পড়েছে ।
ঘটনাটি ঘটেছে একুশে বইমেলার বাইরে। সেখানে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই পথশিশুর ফুল বিক্রির টাকা কেড়ে নিয়ে আইসক্রিম খাওয়ার অভিযোগ উঠে। তবে সাধারণ মানুষের চাপের মুখে পরে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দোয়েল চত্বরের কাছে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
তবে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন দাবি করেছেন, শিশুদের কাছ থেকে টাকা নেননি পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনাটি অন্য রকম।
তবে ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন জানান, টিটু নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা ফুল বিক্রেতা দুই পথশিশুকে মারধর করে তাদের কাছে ৩২০ টাকা কেড়ে নেন। পরে বাংলা একাডেমির ড. মুহম্মদ এনামুল হক ভবনের মূল গেটে মানুষের চাপের মুখে চারশ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন তিনি।
ভুক্তভোগী দুই শিশু নাম তুলু ও জিহাদ। তুলু বলে, ‘আমরা ফুল বেচতাছিলাম। এক বেডি দাম জিগায়। আমি কইছি ৫০। বেডি কইছে ২০। ওইসুম বেডি খারাপ ব্যবহার করছে, আবার জুতা দিয়া মারছে।’
‘ওইসুম পুলিশও মারছে। এক পুলিশ থাপ্পর দিছে। ওরা কয় ৫০ বেচলে মারমু। পরে আমার ২২০ আর ওর (জিহাদ) কাছ থেইকা ১০০ টাকা লইয়া পুলিশ কয় ওই দৌড় দে একটা’।
‘ওরে (জিহাদ) দৌড় দিয়া ঘুরাইল, আর আমি কানতে কানতে আইছি। দেখলাম কী, পুলিশ তিনটা আইসক্রিম কিইন্যা খাইয়া হালাইল! ওরা ওইসুম আমাগো গালিও দিছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অঙ্কন ঘটনাটি দেখে প্রতিবাদ জানান। পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি ঘটার সময় সেখানে লোক জড়ো হয়ে যায়। তখন পুলিশ কর্মকর্তা টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান দাবি করেন, ‘ঘটনাটি আপনি যেভাবে বলেছেন, সে রকম নয়। সেখানে পথশিশুরা ফুল বেচছিল। এক নারীর কাছে তারা ফুল বিক্রির চেষ্টা করছিল। তখন পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা ফুলের মালা ফেলে পালিয়ে যায়। তখন কয়েকজন লোক এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে পুলিশ সদস্যরা তাদের পকেট থেকে নষ্ট হওয়া মালার দাম পরিশোধ করে।’
