002ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তাকে খালাস দিয়েছিলেন। সে রায় পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগে বাতিল হয়ে যায় এবং পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয়া হয়। আপিল বিভাগের এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন রোববার খারিজ হওয়ায় মায়াকে দেয়া বিচারিক আদালতের ১৩ বছরের সাজার রায় বহাল থাকলো। গত বছরের ৩ আগস্ট আপিল বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন দাখিল করেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

এদিন রিভিউ আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে মায়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রী মায়ার রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ মামলার বিষয়ে হাইকোর্টে পুনরায় শুনানি হবে। তবে এ মামলায় মায়ার জামিন বহাল থাকবে, আর সাজার বিষয়টি বিচারাধীন থাকলো বলেও জানান এই আইনজীবী। তবে আপিল বিভাগ এ মামলায় এর আগে যখন হাইকোর্টে আদেশ বাতিল করেছিলেন, তখন এই আইনজীবী বলেছিলেন, মায়ার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা বহাল থাকবে।

গত বছরের ১৪ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতির ওই মামলায় মায়াকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশও দেয়া হয়। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের এ নেতার ১৩ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেন হাইকোর্ট। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত মায়াকে ওই সাজা দেন। রায়ে মায়াকে ১৩ বছর কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা জরিমানা এবং তার প্রায় ৬ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়।

২০০৭ সালের ১৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। অার সাজা বহাল থাকায় মায়ার মন্ত্রিত্বে থাকা না থাকার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। এর আগে আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরই মায়ার সংসদ সদস্য পদে বহাল থাকা নিয়ে সাংবিধানিক প্রশ্ন আসে। সংবিধানের ৬৬ ধারার ২ দফার (ঘ) উপদফা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি না এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ওই ধারার ২ দফার ঘ উপদফায় বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকবার যোগ্য হবেন না, যদি “তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দু’বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে”।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031