র‌্যাবের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রসহ তিন শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে । তবে তুলে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে র‌্যাব। গতকাল রাতে কলা ভবনের সামনের মূল সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে তিন শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়ার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে টিএসসি এলাকায় বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুর করা হয় ৫-৬টি যানবাহন। আটক শিক্ষার্থী হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী তানভীর ও ইমরান হোসেন।

তানভীর বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক। আর ইমরান সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অন্যজন মোহাম্মাদ পুর কেন্দ্রীয় কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুসলিম উদ্দিন হিমেল। আটকের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ছাড়িয়ে আনেন বলে জানান আটকদের সহপাঠীরা। আটকদের ছাড়িয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, আটকরা বর্তমানে আমাদের হেফাজতে আছে। যদিও আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। র‌্যাবের একটি মাইক্রোবাস ও একটি টহল গাড়ি কাঁটাবনে দায়িত্ব পালন করছিল। পেছন থেকে মোটরসাইকেল হর্ন দিয়েছিল কয়েকবার। নানা কারণে গাড়িটি নড়তে পারছিল না। মোটরসাইকেলটি এসেই গ্লাস ভেঙে দেয়। র‌্যাব সদস্যরা তাদের গাড়ির কাচ ঠিক করে দিতে বলেন। তাদেরই কেউ প্রচার করেছেন যে র‌্যাব ছাত্রদের তুলে নিয়ে গেছে।
জানা গেছে, মোটরসাইকেলে ওই তিন শিক্ষার্থী র‌্যাবের একটি মাইক্রোবাসকে কোনো এক কারণবশত আটকায়। তারা গাড়ির চালককে বের হয়ে আসতে বলেন। কিন্তু চালক বেরিয়ে না আসায় তারা গাড়ির লুকিং গ্লাস ভাঙচুর করেন। পরে গাড়িতে র‌্যাবের পোশাকে সদস্যরা বের হয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে একটি সাদা রঙের অ্যাপাচি মোটরসাইকেল ও ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য ও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর যান। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে আগত বিভিন্ন রুটের গাড়ি আটকাতে থাকেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা র‌্যাব-পুলিশের গাড়িসহ ৫-৬টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসানসহ সংগঠনটির কয়েকজন সিনিয়র নেতা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031