বিশেষ উদ্যোগ বিদেশী ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পাহাড় রক্ষায় নেয়া হয়েছে ।

কংক্রিটের তৈরি ব্লক পাহাড়ে বসানোর মাধ্যমে নগরীর ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারী পাহাড়গুলোকে ধস থেকে ঝুঁকিমুক্ত করা হচ্ছে।

পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে নিজস্ব অর্থায়নে পাহাড়গুলো সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে। আশরাফুল আলম মামুনের ক্যামেরায় বিস্তারিত জানাচ্ছেন পার্থ প্রতীম বিশ্বাস।

বর্ষা আসলেই পাহাড় ধস চট্টগ্রামের জন্য যেন একটি আতঙ্কের নাম। প্রতি বছর পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৭ সালে নগরীতে পাহাড় ধসে ১শ ২৭ জনের মৃত্যু হয়।

তাই পাহাড় ধস রোধে ব্যক্তিমালিকানাধীন ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় সংরক্ষণে নেয়া হয়েছে উদ্যোগ।

বিশেষজ্ঞদের দাবি,পাহাড় না কেটে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাথর ও সিমেন্টের কংক্রিটের তৈরি ব্লক পাহাড়ে বসানোর মাধ্যমে একদিকে যেমন পাহাড় ধস রোধ করা হয়েছে তেমনি অবৈধভাবে পাহাড় কাটা বন্ধ করা হয়েছে।

অধ্যাপক মোজাম্মেল হক (সাবেক উপাচার্য, চুয়েট) বলেন, কিছুটা আমরা রিভিল করেছি, কোনকিছু কাটিনি, যেন প্রটেকশন দেয়া যায়।

নাসের আল শাকের (প্রকৌশলী, নিকেতন) বলেন, প্রথমে জি টেস্টাইল বসাই, পরে এর উপর গ্রিডগুলা বসাই।

এই পদ্ধতি ব্যবহার করে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে পড়া নগরীর খুলশী এলাকায় অবস্থিত জাতীয় গ্রীডে চট্টগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত থাকা ১৩২ কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাত্তয়ার রক্ষা করা হয়েছে। একইভাবে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন পাহাড়ও রক্ষা করা হয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

মো. মঞ্জুর মোর্শেদ (নির্বাহী প্রকৌশলী, পাত্তয়ার গ্রীড, চট্টগ্রাম) বলেন, এই পাহাড়টা সুরক্ষিত রাখতে পেরেছি।

প্রকৌশলী মো. হোসাইন (তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, এম আর সিদ্দিকী পাহাড়, চট্টগ্রাম) বলেন, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হলেও মাটি যাবে কোন পানি যাবে না।

এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নগরীর অন্যান্য পাহাড়গুলো ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব বলে মনে করেন এই নগর পরিকল্পনাবিদ।
আশিক ইমরান বলেন (নগর পরিকল্পনাবিদ) এই ভাবে বৈজ্ঞানিকভাবে পাহাড় ধ্বসে ক্ষতি কমানো সম্ভব।

গত বছর রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় পাহাড় ধসে প্রাণ হারায় ১৬০ জন মানুষ।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031