jay সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র  হত্যাচেষ্টা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্যের সঙ্গে মার্কিন আদালতের নথির কোনো মিল নেই। বছরখানেক আগে এফবিআইয়ের গোপন নথির বিষয়ে অবৈধভাবে খোঁজ নেয়ার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত তিন ব্যক্তির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের হত্যা প্রচেষ্টার বিষয়টি জড়িত নয়।

আজ বুধবার এ খবর দিয়েছে ‘দ্য ওয়ার’। এ সংবাদটিকে পত্রিকায় ‘এক্সক্লুসিভ’ হিসেবে প্রকাশ করা হয়। শিরোনাম দেয়া হয় Exclusive: US Court Dismissed Claim of Plot to Injure Bangladesh PM Son’। ঢাকা থেকে এ প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছেন সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই মামলায় আইনজীবীরা অভিযোগ করেছিল ওই তিন ব্যক্তি সজীব ওয়াজেদ জয়কে শারীরিক হামলা (ফিজিক্যালি হার্ম) করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু বিচারক এ অভিযোগ বাতিল করে দেন।

২০১৫ সালের মার্চে যে তিনজনকে সাজা দেয়া হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ ছিল। কিন্তু গত শনিবার ঢাকায় প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তিনজনের সঙ্গে যোগসাজসে সজীব ওয়াজেদকে ‘অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা’র অভিযোগে। যা আদালতের মূল মামলার বিষয়ের সঙ্গে একেবারেই মিল নেই।

‘মৌচাকে ঢিল’ সম্পাদক শফিক রেহমান, যিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সঙ্গে জড়িত, তাকে তার বাড়ি থেকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার বাসায় ঢোকে।

‘আমার দেশ’  পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকেও গত সোমবার একই অভিযোগে ‘শ্যোন এরেস্ট’ দেখানো হয়েছে। মাহমুদুর রহমান ২০১৩ সাল থেকে অনেকগুলো মামলায় কারাগারে রয়েছেন।

‘দ্য ওয়ার’ এই প্রথম মার্কিন আদালতের নথি প্রকাশ করল। ওয়ারের এ প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বলা যায় সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ সরকার বলছে মার্কিন আদালত যে তিনজনকে সাজা দেয় তারা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। শফিক রেহমানও এর সঙ্গে জড়িত থাকার ‘প্রমাণ’ তাদের কাছে আছে। সরকার আরো বলেছে, শফিক রেহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি তারা ‘সরাসরি আমেরিকার ওই মামলা’ থেকে জানতে পেরেছে।

২০১৩ সালের মার্চে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুকে এক পোস্ট প্রকাশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ঘুষ গ্রহণের এ মামলাটি প্রথম বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারে। – See more at: http://www.sheershanewsbd.com/2016/04/20/124647#sthash.sTGHoRME.dpuf

Share Now
April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930