র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিশোরী গণধর্ষণ মামলার প্রধান চার আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বরাগির কান্দি (আদমপুর) এলাকায়।
বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার কালীবাড়ি এলাকার দায়রা বাজার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার প্রধান চার আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- এজাহারভুক্ত আসামি হযরত আলী, আসাদ মিয়া, সুশেন মিয়া, এমদাদুল মিয়া, এজাহারবিহীন জাহের মিয়া, মাসুম মিয়া। তাদের সবাই অষ্টগ্রাম থানার বরাগির কান্দি (আদমপুর) এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, গত ১২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর এলাকায় জনৈক কিশোরী তার নিজ বাড়িতে একাকী অবস্থানকালে সন্ধ্যায় তাকে শারীরিক নিযার্তনের উদ্দেশ্যে একই গ্রামের ছয় জন দুষ্কৃতিকারী তার মুখে ওড়না পেচিয়ে অপহরণ করে বাড়ির দক্ষিণ দিকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার দুই দিন পর ১৫ এপ্রিল কিশোরীর মা মামলা করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নিযার্তিত কিশোরী তার মায়ের সাথে সিলেটে বসবাস করত। ঘটনার এক মাস আগে সে তার নিজ বাড়িতে আসে। ঘটনার ৫/৬ দিন আগে একই গ্রামের হযরত আলী কিশোরীকে বিভিন্নভাবে ইভটেজিং করত পরবর্তীতে কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় দিকে কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে হয়ে হযরত আলী ও তার সহযোগীরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পালাক্রমে পাশবিক নিযার্তন করে। নিযার্তন শেষে কিশোরীকে তার বাড়ির পেছনে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনার খবর শুনে কিশোরীর বাবা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প অধিনায়ক অতি. পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, গণধর্ষণ ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জঘন্য এ পাশবিক নিযার্তনের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই ভৈরব ক্যাম্প ধর্ষণের সাথে জড়িতদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।
