সরকার ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরের প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা কীভাবে দেখতে চাই সেভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের জন্য আমরা পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।’ দেশে অগ্রযাত্রা যারা ব্যাহত করে তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া শাখা এই সংবর্ধনার আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা সিডনিতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল উইমেন সামিট-২০১৮তে যোগদান করতে এবং গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ গ্রহণ করতে গত শুক্রবার সিডনি পৌঁছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্যই আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জনে সমর্থ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই আগামী ছয় বছর পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এর অবস্থানকে ধরে রাখার লক্ষ্য অর্জনে সমর্থ হয়েছে। এখন আমরা পরিকল্পনা করছি কীভাবে দেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে এবং এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
তিনি বাংলাদেশের এই উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধী, খুনি এবং দেশের উন্নয়নের প্রতি অনাস্থাশীল চক্র যাতে কোনোভাবে আর কোনোদিন এ দেশের রাষ্ট্রীয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে।
দেশের মর্যাদার বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা যে যেখানেই বাস করুন না কেন, আপনাদের দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করে দেশের সম্মানকে তুলে ধরতে হবে, যে সম্মান আমরা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্যদিয়েই আমরা এই শহীদদের প্রতি যথাযথভাবে সন্মান জানাতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বিকালে সিডনির সোফিটেল হোটেলের এই অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসু রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ড. মিল্টন হাসনাত, গামা আব্দুল কাদির, আনিসুর রহমান রিতু, প্রদ্যুত সিং চুন্নু এবং নিরাজুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংবর্ধনা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক শেখ শামিমুল হক।
অস্ট্রেলীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।–বাসস
