উদ্ধার হওয়া মৃত তরুণীর পরিচয় মিলেছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে । তার নাম তাসফিয়া। প্রেমিক আদনান মির্জাই সৈকতে নিয়ে গিয়েছিল তাকে। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তাসফিয়া সকলের বড়। সে নগরীর সানশাইন স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।
তাসফিয়ার চাচা জানান, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ডেইলপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের পরিবার থাকেন ও আর নিজাম আবাসিক এলাকার ৩নং সড়কের কেআর এস বিল্ডিংয়ে থাকেন। কিছু দিন আগে ফেইসবুকে তাসফিয়ার সাথে আদনান মির্জা নামে এক ছেলের পরিচয় হয়। তার পরিবার এ খবর জানতে পেরে তাসফিয়ার মাধ্যমে আদনানকে তাদের বাসায় ডেকে আনে।আদনানকে বাসায় আনার পর তাসফিয়ার বাবা আদনানকে তার বাবাকে তাদের বাসায় ডেকে আনতে বলে। না হয় আদনানকে ছাড়া হবেনা বলে জানায়। আদনান ফোন করে স্থানীয় কিছু ছেলেপেলে এনে তাসফিয়ার বাবাকে হুমকি ধামকি দিয়ে তাসফিয়ার বাসা থেকে চলে আসে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাসফিয়াকে ডেকে নেয় আদনান । তাসফিয়াকে নিয়ে যায় নেভালে।
তবে পতেঙ্গা থানার ওসি তদন্তের পর সব জানাতে পারবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে বুধবার (০২ মে) সকাল ৯টার দিকে অজ্ঞাত এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পতেঙ্গা থানার এসআই মোহাম্মদ আনোয়ার লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এখনো লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তরুণীটি কীভাবে নিহত হয়েছেন, এ ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
