বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ব্যাংকিং খাত তত খারাপ নয় বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বিবেচনার সমালোচনা করেছেন। আর কী হলে ব্যাংকিং খাতকে খারাপ বলবেন, সেটা জানতে চেয়েছেন তিনি।
‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) এক আলোচনায় অংশ নিয়ে এই প্রশ্ন রাখেন বিএনপি নেতা।
গত কয়েক বছর ধরে খেলাপি বা মন্দ ঋণ বেড়ে যাওয়া, ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকিং খাত নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। তবে গত ৩০ এপ্রিল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতের অবস্থা যতটা খারাপ বলা হচ্ছে ঠিক তত খারাপ নয়। তবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণটা একটু বেশি। এক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকগুলোর অবস্থা একটু বেশি খারাপ। তবে তাদের সরকারের প্রয়োজনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে।’
মুহিতের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘লুট করে করে খালি করে ফেলেছে ব্যাংকগুলো। সব টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বলেছেন- ব্যাংকিং খাত নাকি এখনো ততোটা খারাপ হয়নি। তাহলে কি বাংলাদেশ ব্যাংক তুলে নিয়ে গেলে খারাপ হয়েছে বলবেন?’।
সরকার খালেদা জিয়াকে মিথ্যা অভিযোগে জেলে আটক রাখা হয়েছে বলেও দাবি করে তাকে অবিলম্বে মুক্ত করার দাবিও তোলেন ফখরুল।
আগামী নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে করা এবং সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিও করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘এরপর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।’
কাউকে নির্বাচনে আনতে জোর করতে পারি না-প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন দেশের মানুষ আর হতে দেবে না।’
খুলনায় বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের ১৯ জন নেতাকে গ্রেপ্তারের পর বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ভোটের প্রচার থেকে সরে দাঁড়ানো এবং ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে আবার প্রচারে ফেরার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন দলের মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, ‘খুলনার ক্যান্ডিডেট বাধ্য হয়ে প্রচারণা থেকে সরে এসেছে। আমরা প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বলেছি। যখন ফোনে বলি তারা বলে সবই ঠিক আছে।’
গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদকে প্রত্যাহার না করার সমালোচনাও করেন ফখরুল। বলেন, ‘এই এসপি হুইপকে (২০১১ সালে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক) মেরেছিল। এটা সবার জানা। আমরা প্রথমদিনই বলেছি গাজীপুরের এসপিকে সরাতে হবে। কারণ সে চিহ্নিত আওয়ামী লীগার। সে প্রথম দিনই জামায়াতের ৪৫ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।’