বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবারের রমজানে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সভা শেষে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। বিদ্যুৎ ভবনে গ্রীষ্ম মৌসুম ও আসন্ন রমজান মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বর্তমানেও সিএনজি স্টেশনগুলোতে বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে অর্থাৎ রমজান মাসে তা আরও দুই ঘণ্টা বাড়ছে।
সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বিতরণকারী সংস্থা, পেট্রোবাংলা, এফবিসিসিআই ও দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি মাসে আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিপনি বিতানগুলোতে পরিমিত আলোকসজ্জা করা নিয়ে এবার আমাদের অতটা আপত্তি নেই। কেননা এখন বিদ্যুতের পর্যাপ্ত উৎপাদন রয়েছে। এবারের রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
সভায় বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস বলেন, ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে রোজায় রাত ৮টার মধ্যে বিপণি বিতান বন্ধের বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে এবিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’
সভায় ইফতার ও সেহরির সময় শপিং মল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের এসির ব্যবহার সীমিত রাখা এবং ইফতার, তারাবি ও সেহেরির সময় লোডশেডিং না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া রমজানে দোকানপাট, বিপণিবিতান খোলা রাখার বিষয়ে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুসরণ, পিক আওয়ারে রি-রেলিং মিল, ওয়েল্ডিং মেশিন, ওভেন, ইস্ত্রির দোকানসহ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী সরঞ্জাম বন্ধ রাখা, সুপার মার্কেট, পেট্রলপাম্প, সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মানসুর মো. ফয়জুল্লাহ, ডেস্কো, ডিপিডিসির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
