প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের ১৩দফা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ২০গ্রামবাসীর সমন্বয় কমিটির ৬দফা দাবিতে গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় যৌথভাবে আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়েছে।
কয়লাখনির প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারি এবং ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর যৌথ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে সহ-সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সভাপতি ওয়াজেদ আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন হোসেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মশিউর রহমান বুলবুল, সাবেক ইউপি সদস্য জবেদ আলী, মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
যৌথ সমাবেশে আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি ও ক্ষতিগ্রস্ত ২০গ্রামের সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মশিউর রহমান বুলবুল। আল্টিমেটামে বলা হয় আজ রবিবারের মধ্যে শ্রমিক কর্মচারিদের ১৩দফা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ২০গ্রামের সমন্বয় কমিটির ৬দফা এই ১৯দফা দাবি পূরণ করা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে আগামীকাল সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করা হবে।
কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, কয়লাখনি শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য ১৩দফা দাবি নিয়ে দীর্ঘ ৯মাস সময় নিয়ে কালক্ষেপণ করে আসছেন। তাদের দাবি মেনে না নিয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে প্রতারণা করছেন। এ কারণে আজ রবিবারের (১৩মে) মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে আগামীকাল সোমবার (১৪মে) থেকে খনিশ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবে। এতে খনির উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজ ব্যহত হলে এর সকল দায়-দায়িত্ব খনি কর্তৃপক্ষ বহন করবেন।
কয়লাখনি সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত ২০গ্রামের সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মশিউর রহমান বুলবুল, মিজানুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম বলেন, খনি সংলগ্ন ২০গ্রামের ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে ভূকম্পন ও ভুমি ধসে গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িঘর হেলেদুলে যাওয়াসহ ফাটল ধরেছে। একই সাথে রাস্তাঘাটের মাটিও ফেটে গেছে। এতে পরিবারগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পরিবার পরিজনের সাথে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিষয়টি বারংবার কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর বিষয়ে প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এ কারণে রবিবারের (১৩মে) মধ্যে গ্রামবাসীর ৬দফা দাবি পূরণ করা না হলে আগামীকাল সোমবার (১৪মে) গ্রামবাসীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করবে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. হাবিব উদ্দিন বলেন, খনিশ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে আগামী ২১ মে সোমবার পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মহোদয় আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করবেন। ক্ষতিগ্রস্তদের কোন দাবি থাকলে সেই দাবি সরকারের কাছে করা উচিৎ খনি কর্তৃপক্ষের কাছে নয়। #

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031