কোনো রাজনৈতিক কর্মীকে হয়রানি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের দৃষ্টিতে তারা শুধুই আসামি, রাজনৈতিক কর্মী নয়।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার চলার শুরু থেকেই বিএনপি আক্রমণ করেছে পুলিশকে। মহানগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবিরকে ঘিরেই ছিল এই আক্রমণ। তাকে প্রত্যাহার করতে ভোটের প্রচারের পর থেকেই নির্বাচন কমিশনে দাবি জানিয়ে এসেছে বিএনপি। ভোটের আগের দিনও বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একই দাবি জানিয়েছেন।
ভোটের দুই দিন আগে বিএনপির প্রার্থী তাদের ১৩০ জনকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছেন। তবে হাইকোর্টে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের করা এক রিট আবেদনে পাঁচ থেকে ছয়শ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারে অভিযোগ করা হয়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খুলনার পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমরা তো আর বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছি না। আমরা বিভিন্ন মামলার আসামি এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছি।’
তাহলে বিএনপির অভিযোগ কী ভিত্তিহীন?-
‘দেখুন আমরা সব মিলিয়ে গত কয়েকদিনে ৫০০/৬০০ জনকেও গ্রেপ্তার করিনি। সেখানে বিএনপি নেতাকর্মী তো দূরে থাক।’
কতজনকে গ্রেপ্তার করেছেন?
‘সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলা মুশকিল। আপনি আমাদের কেএমপি মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
এরপর ঢাকাটাইমস কেএমপির মুখপাত্র এডিসি (মিডিয়া) সোনালী সেনের সেঙ্গ যোগাযোগ করুন।
সোনালী সেনও ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের কাছে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের কোনো তথ্য নেই। তবে আমরা প্রতিদিনই নিয়মিত মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করছি। সেই তথ্য আছে। তাও সমন্বিত তথ্য নেই। প্রতিনিদিনের হিসাব আমরা করি।’
আজকে কতজনকে গ্রেপ্তার করলেন?
‘আজকে (সোমবার) ৪৬জনকে গ্রেপ্তার করেছি।’
এরা সবাই কি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার?
‘না তারা কেউ রাজনীতিক মামলায় গ্রেপ্তার নয়। এদের মধ্যে ২৯ জন নিয়মিত মামলার আসামি। আর ১৪ জন বহিরাগত।’
১৪ জনের পরিচয়?
’১৪ জনের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তারা বহিরাগত। তাদের আমরা কোর্টে চালান করে দিয়েছি।’
গত কয়েকদিনে গড়ে কত জন গ্রেপ্তার হয়েছে?
‘গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ জনের মতো হবে।’
স্বাভাবিক সময়ে কি এর চেয়ে কম গ্রেপ্তার হয়?
‘না’।
পুলিশ এবং বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের অন্যান্য এলাকার মতো খুলনাতেও ব্যাপক নাশকতার ঘটনা ঘটেছিল। আর নানা ঘটনায় মামলাও হয়েছে বহু। এসব মামলার আসামিরা এতদিন এলাকা ছাড়া ছিলেন। ভোটের আগে তারা এলাকায় ফিরেছিলেন। তার তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
