হাছান মাহমুদ খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ‘চক্র’ থেকে বের হয়ে আসতে বিএনপি নেতাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন । আওয়ামী লীগ নেতার নেতার দাবি, বিএনপিকে বাঁচাতে হলে এই কাজ করতে হবে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় বিএনপি নেতাদেরকে এই পরামর্শ দেন ক্ষমতাসীন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।

বিএনপি নেতাদেরকে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক চক্র থেকে বের করে আনুন তাহলে বিএনপি রক্ষা পাবে।’

১৯৮১ সালের ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর রাজনীতিতে আসেন খালেদা জিয়া। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। পরের বছরের মার্চে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৪ সালের ১০ মে দলের চেয়ারপারসন হন। তখন থেকেই বিএনপি নেতৃত্ব খালেদা জিয়ার হাতে।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একবার পাঁচ বছরের পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ এবং একবার সোয়া চার বছর এবং আন্দোলনের মুখে একবার দেড় মাসেরও কম সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তার ছেলে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হন। তিনি ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তারেক রহমান সরকারের কোনো পদে না থাকলেও তার ব্যাপক প্রভাব ছিল এবং সে সময় তাকে ঘিরে বিএনপিতে নানা মেরুকরণ হয়। দলের একটি অংশ গোপনে তার বিরোধিতা করে এবং বিএনপিতে ভাঙন দেখা দেয়।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সমালোচনারও জবাব দেন হাছান। গত ১৫ মে ভোটে দলীয় প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ৬৮ হাজার ভোটে হারের পর ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগও চেয়েছে তারা।

হাছান বলেন, ‘খেলায় যখন কেউ হেরে যায় তখন বলে রেফারি খারাপ ছিল। আর নাচতে কেউ না জানলে তখন বলে উঠানটা বাঁকা ছিল।’

‘এখন বিএনপির বক্তব্য হচ্ছে নির্বাচনের মাঠ বাঁকা ছিল, রেফারিও খারাপ ছিল।’

নির্বাচনে পরাজয়ের কারণগুলো বিশ্লেষণ করে আগামী নির্বাচনে কীভাবে সাফল্য পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে প্রচেষ্টা চালাতেও বিএনপিকে পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র।

আয়োজক সংগঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখুন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031