বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ সম্পাদক ও ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী নির্বাচনের মাঠে প্রতিপক্ষকে সরিয়ে আবারো ক্ষমতা দখল করতেই সরকার খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন । তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখার মধ্যদিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। তারা খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখে নির্বাচনের মাঠে প্রতিপক্ষকে সরিয়ে দিয়ে আবারো ক্ষমতা দখল করতে চায়। কিন্তু এই অবৈধ সরকার জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছে। এ দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে কোন নির্বাচন হতে দেবে না। গতকাল বিকালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ইসলামিয়া বাজারে লেলাং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব বলেন।

গনি চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, আইন লঙ্ঘন করে, সংবিধান না মেনে নির্জন-পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দী করার কারণে সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া শুধু একজন ব্যক্তি নন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জননন্দিত নেত্রী। গত নয় বছরে খালেদা জিয়াকে বন্দী করে সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন আওয়ামী লীগ। তার জন্য দেশের মানুষ নীরবে কাঁদছে। গনি চৌধুরী বলেন, আর আগামী ছয়মাস বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সংকটপূর্ণ সময়। আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আর বিএনপি বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় গণতন্ত্র এনেছে এবং হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। আগামীতেও বিএনপির নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে দেশের জনগণ। তিনি খালেদা জিয়াকে বন্দীর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে এক টাকাও দুর্নীতি হয়নি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কেউ এক টাকাও মেরে খাননি। পুরো টাকা ব্যাংকে আছে। দুই কোটি টাকা এখন ছয়কোটি টাকা হয়েছে। এমন মিথ্যা মামলায় তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজা হতে পারে না। জনগণ এ সাজা মেনে নেয়নি। গনি চৌধুরী বলেন, দেশ বর্তমানে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে। বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। লুটের টাকা দিয়ে সরকারের লোকেরা বিদেশে বেগম পল্লী বানাচ্ছে। লেলাং বিএনপির সভাপতি এজাহার আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সারোয়ার হোসেন, ইলিয়াস চৌধুরী, সরোয়ার মফিজ, আজম খান, আজম চৌধুরী, এম মোরশেদ হাজারী, ওমর ফারুক ডিউক, মাহবুবুল আলম, নুরুল আলম, আবু তাহের, হানিফ মেম্বার প্রমুখ।
Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031