একাদশ সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এক হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। নির্বাচন কমিশন যে পরিমাণ বরাদ্দ চেয়েছে, তাতে কাটছাঁট করেনি অর্থ মন্ত্রণালয়।

কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখুলেসুর রহমান বলেন, ‘ভোটের জন্য আমরা এক হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি চেয়েছিলাম। আমরা যা চেয়েছি তা পেয়েছি। তেমন কাটছাঁট হয়নি।’

প্রস্তাবিত বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৭৫ কোটি টাকা; উপজেলা পরিষদের জন্য ৫৭৫ কোটি টাকা; পৌরসভার জন্যে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ১১ কোটি টাকা এবং বাকি বরাদ্দ কিছু সিটি করপোরেশনের ভোটের জন্য।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী জানুয়ারিতে হতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর ২০১৯ সালে বছরজুড়েই হবে উপজেলা নির্বাচন। পরের বছর হবে দেশের সব পৌরসভায় নির্বাচন। এই ভোটগুলো হবে ধাপে।

দশম সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ভোটের জন্য এক হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। তাতে জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনে জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০০ কোটি টাকা করে।

তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় ভোটের খরচ অনেক কমে আসে। তখন ব্যয় হয় প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা।

আগামী বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন। ৩০ জুন এই বাজেট পাস হলে ১ জুলাই থেকে তা কার্যযকর হবে।

এবার বাজেটের আকার চার লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে বলে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031