প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে বাসযাত্রীসহ সাধারণ পথচারীরা। কর্ণফুলী সেতু চালু হওয়ার পর থেকে কিছুতেই যেন মৃত্যুর মিছিল থামানো যাচ্ছে না। গত ৯ জুন ২০১৮ ইং শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বরের সামনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই নারী সহ ৪ জন। আহত হন শিশুসহ ৯ জন। গত বৎসর মার্চ মাসে শাহ আমানত সেতু এলাকায় বাস চাপায় সাকেরা বেগম (৩২) নামে এক স্কুল শিক্ষিকা নিহত হয়েছিল। যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু সাধারণ মানুষের কাছে যেন কপালের লিখন। গোল চত্বরটি অঘোষিত বাস টার্মিনালে পরিণত হয়েছে। দিন দিন বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনা। যানবাহনের যত্রতত্র পার্কিং, যাত্রী ওঠানামা, বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার সেতুর ওপর থেকে দ্রুত গতিতে গোল চত্বরের দিকে গাড়ির ছুটে আসা, গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা ইত্যাদি বিশৃঙ্খলার কারণে দুর্ঘটনা ও যানজট এর অন্যতম কারণ। বহদ্দারহাট হতে ৫ কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করতে দেড় থেকে দু’ঘন্টা সময় ব্যয় হচ্ছে যাত্রীদের। কক্সবাজার, বান্দরবান, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু ও সড়ক। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলাচল করে।

জানা যায়, পুলিশকে ম্যানেজ করে এখানে অবৈধ টার্মিনাল গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় পুরো এলাকা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ না করে নিজেদের বাড়তি ইনকাম এ ব্যস্ত থাকেন। তাদের নজর থাকে বেশি পণ্যবাহী গাড়ির দিকে। প্রতিদিন ঘটছে ছোট–বড় সড়ক দুর্ঘটনা। বেড়েছে পকেটমারের উৎপাত, থেমে থেমে চলে যানজট আর যাত্রী ভোগান্তি। যত্রতত্র স্টেশন গড়ে উঠায় তা ক্রমান্বয়ে বড় হওয়ায় সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়ে। ফলে দুর্ঘটনা রোধ হচ্ছে না কোনভাবেই। তাই, চালকদের অসতর্কতা এবং ট্রাফিক সিস্টেম অব্যবস্থাপনা, পুলিশের গাড়ি বাণিজ্য ইত্যাদি রোধ করতে পারলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যেত বলে নগরবাসী মনে করে। যানজট ও দুর্ঘটনারোধে পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031