আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিকে রাজনীতিতে কোনো ধরনের ছাড় না দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ।
কাদেরের মতে, ‘রাজনীতিতে ভালোবাসার কোনো জায়গা নাই। রাজনীতি হিসাবের অংক। এখানে ভালোবাসা দেয়া, প্রেম করার কোনো সুযোগ নাই।’
শনিবার ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শনিবার দলের নানা কর্মসূচির বিষয়ে জানাতে শুক্রবার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।
কাদের জানান, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ১০ তলা যে নতুন ভবন করা হয়েছে, সেটি কাল উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা।
জানান, দলের তহবিলের টাকা দিয়েই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন জায়গায় কার্যালয় থাকলেও এবার একই ভবনে সব নেতাকর্মী একত্রিত হতে পারবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে কোথায় কোন কক্ষ থাকবে তা শেখ হাসিনা নিজে নকশা করেছেন।
কাদের জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল নয়টায়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে হবে আগামীকাল আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় বর্ধিত সভা। এতে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা নেতাসহ চার হাজার ১৩৪ জন উপস্থিত থাকবেন।
‘এরপর কিছুদিন পর আরও একটি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সারা বাংলাদেশের ১৩ থেকে ১৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা অংশ নেবেন।’
বর্ধিত সভার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কাদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে জেতার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ভোটের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘এবার আমরা খুব কনফিডেন্ট। এবার আর কেউ আগেরবারের মতো জ্বালাও, পোড়াও কতে পার পাবে না। কেউ যদি ২০০১ সালের রঙিন ফোয়ারা দেখতে চায়, সে রঙিন ফোয়ারা আর সফল হবে না।’
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘বিএনপি কী চায় তা বিএনপি নিজেও জানে না। আমরা কী চাই তা আমরা জানি। সংবিধানের মধ্যে থেকে সরকারের পক্ষ থেকে যা করার আমরা তাই করব।’
‘বিএনপি’র কোন কথাটা সঠিক? একবার বলে তারা নির্বাচনে যাবে। আবার তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দুই প্রস্তুতি তারা এক সাথে নিচ্ছে। তারা আসলে কোনটা চায়? তাদের কোনো বিষয়ই পরিষ্কার না।’
নির্বাচনকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা বিএনপির কাছে জানতে চাই। তাদের দলের পক্ষে যারা আছে তারাই নিরপেক্ষ আর সবাই হচ্ছে পক্ষপাতী।’
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসছে কি না এমন প্রশ্নেরও জবাব আসে সংবাদ সম্মেলনে। দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যথা সময়ে সম্মেলন হবে। কাউন্সিলরা যদি চায়, তাহলে নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে এবং সময়ের প্রয়োজনে নেতৃত্বকে ঢেলে সাজানো হবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ দলের শীর্ষ নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
