পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিল আবেদন পেছানোর শুনানি হয়েছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। পরে রবিবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্টে বেঞ্চ।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এ জে মোহাম্মদ আলী।
পরে খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য আদালত আজ তারিখ ধার্য করেছিলেন। আমরা শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত রবিবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন।’
জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ‘আপিল বিভাগ ৩১ জুলাইয়ের মধ্য মামলাটি নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছিল। ওই অংশটুকু সংশোধন চেয়ে আমরা রিভিউ আবেদন করেছি। আশা করি রবিবারের মধ্যেই ওই আবেদনের একটি নিষ্পত্তি হবে। অথবা নতুন কারণ উদ্ভব হলে আমরা আদালতকে জানাব।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের এবং অন্য পাঁচ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং সব আসামির দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এই দণ্ডের বিরুদ্ধে ১৯ ফেব্রুয়ারি আপিল করেন খালেদা জিয়া। ২২ ফেব্রুয়ারি সেই আপিল গ্রহণ করা হয়। এরপর ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জন্য জামিন দেয়ার পাশাপাশি আপিল শুনানির জন্য এই সময়ের মধ্যে পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়।
হাইকোর্ট বেঞ্চ জানায়, পেপারবুক তৈরি হয়ে গেলে রাষ্ট্র বা আসামিপক্ষ-যে কারও আবেদনে শুনানি শুরু হবে।
এরই মধ্যে এই পেপারবুক তৈরি হয়ে যায় এবং সেটি আপিল বিভাগে নিয়েও যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ১৬ মে খালেদা জিয়াকে এই মামলায় জামিন দেয়ার পাশাপাশি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিএনপি নেত্রীর আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই মামলায় জামিন পেলেও খালেদা জিয়া এখনও ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। কারণ, তার বিরুদ্ধে আরও ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। তার মুক্তির জন্য সেগুলোতে জামিন পেতে হবে।
