যুবলীগ নেতা তরিকুল হত্যার প্রতিবাদে গত ৮ আগস্ট বুধবার যশোর-নড়াইল সড়ক অবরোধ করে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা যশোরের বাঘারপাড়ায় । এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৮ নেতা কর্মীর নামে নাশকতার মামলা হয়েছে। বিএনপির উল্লেখযোগ্য আসামীরা হচ্ছেন-কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব হোসেন, বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক মেয়র আব্দুল হাই মণা, বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকী। জামায়াতের বাঘারপাড়া উপজেলা আমীর ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসির হায়দার, যশোর নগর জামায়তের সেক্রেটারি গোলাম রসুল, উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রটারি আব্দুল আলিম, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি খসরুল আলম মিন্টুকে আসামী করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা যুবলীগের নেতা তরিকুল ইসলামকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়। ৫দিন পর ৮ আগস্ট বুধবার সকালে নড়াইলে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার হয়।
কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব হোসেন অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রকৃত ঘটনা ও দোষীদের আড়াল করে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়েছে। ঘটনার বিবরণ, ঘটনার স্থল, সময়, সবই মামলার বাদি এসআই আব্দুল মতিন তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। শুধু আন্দোলনের ইস্যু ও আন্দোলনকারীদের বদলে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এসআই আব্দুল মতিন বলেছেন, যা হবার তাই হয়েছে। ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন। বাঘারপাড়া থানার ওসি মঞ্জুরুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি ভিন্ন প্রসঙ্গ টেনে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
