র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে সামির (৮) নামের অপহৃত এক শিশুকে উদ্ধার করেছে। সামির হাতিরঝিল এলাকার কাওসার আহমেদের ছেলে। এসময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকা এক ব্যক্তিকেও আটক করেছে র্যাব। তার নাম মো. মইনুল ইসলাম। পেশায় তিনি একজন মাদরাসা শিক্ষক। তিনি নোয়াখালীতে একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। তবে র্যাব জানিয়েছে, তিনি রাজধানীর হাতিরঝিল সংলগ্ন মধুবাগ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন । এই এলাকায় তিনি কখনো লজিংয়ে থাকতেন আবার কখনো প্রাইভেট পড়াতেন। সেই সুবাদেই অপহরণ হওয়া সামিরের বাবা-মায়ের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।
র্যাব-৩ এর অপারেশন কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার সামিরকে বেড়ানোর নাম করে বাসা থেকে নিয়ে যান মইনুল ইসলাম। এরপর থেকে সামিরের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। মইনুলের ফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে সামিরের বাবা কাওসার আহমেদের মাইক্রোবাস থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। চিরকুটে সামিরের মা মুক্তি বেগম সম্পর্কে আজেবাজে কথা লেখা ছিল। র্যাব সদস্যরা মনে করছেন, পরিবারকে বিভ্রান্ত করতেই ওইসব কথা লেখা হয়েছিল। এছাড়া চিরকুটে সামিরকে ছাড়িয়ে নিতে হলে ৫০ হাজার টাকা লাগবে- লেখা ছিল। সেই টাকা অন্য কেউ নিয়ে এলে চলবে না। টাকা নিয়ে আসতে হবে মা মুক্তিকে। একটি ফোন নম্বর লেখা ছিল ওই চিরকুটে।
র্যাব জানায়, শুক্রবার সকালে ওই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সামিরের মা মুক্তিকে টাকা নিয়ে হাজীক্যাম্প এলাকায় যেতে বলেন মইনুল। তখন সামিরের পরিবার র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে র্যাব মাঠে নামে। প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে মইনুলের অবস্থান জানতে পেরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে ঘিরে থাকে বিমানবন্দর স্টেশন এলাকা। পরে মা মুক্তি বেগম টাকা নিয়ে বিমানবন্দর রেললাইনের ওপর থেকে ফোন করলে মইনুল এগিয়ে যান টাকা নিতে। ছেলেকে দিয়ে টাকা হাতে নেয়ার সময় তাকে ধরে ফেলেন র্যাব সদস্যরা। র্যাব-৩ এর অপারেশন কমান্ডার রবিউল ইসলাম আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, টাকার লোভেই শিশু সামিরকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণকারীকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ ঘটনার আসল রহস্য বের হবে।
