মানুষ পার করে আমার চেয়েও অনেক বেশি খারাপ সময় । অনেক মানুষের হাত নেই, পা নেই। তবু তারাও বেঁচে থাকে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমার সেই রকম কিছু হয়নি। মানুষের জীবনে দুর্ঘটনা ঘটে। এটাকে অতিক্রম করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী চাঁদনী তার সিঙ্গেল লাইফ নিয়ে এভাবেই কথা বললেন। তিনি আরো বলেন, আমি সিঙ্গেল লাইফ নিয়ে সুখে আছি। আমার কোনো আফসোস নেই। এখন আমি স্বাধীনভাবে যখন যা খুশি করতে পারি। এই সময়টা আমার জীবনে না এলে আমি কতটা সুখী সেটি হয়তো উপলব্ধি করতে পারতাম না। এভাবে সিঙ্গেল থাকতে চাই। কারো সঙ্গে নিজেকে আর জড়াবো না। সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে এই অভিনেত্রী তার মা-বোনের সঙ্গেই থাকেন বলে জানান। ঈদের পর মা-বোনসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে কলকাতা থেকে ঘুরে এলেন। সেখানে চারদিন ছিলেন। কলকাতায় সিনেমা দেখার পাশাপাশি ঘুরে বেড়িয়েছেন এই গ্ল্যামারকন্যা। চাঁদনীর বাবা নেই। মা বেঁেচ আছেন। তাই মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের একটু সময় দেওয়ার জন্য কলকাতার এই সফর। ক্যারিয়ার নিয়েও বেশ সিরিয়াস হয়েছেন চাঁদনী। ঈদে বিভিন্ন চ্যানেলে তাকে নাচের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। অভিনয়েও বেশ মনোযোগী রয়েছেন। তার ভাষ্য, আমি এখন আমার ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ সিরিয়াস। নিয়মিত অভিনয় ও নাচ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। পারিবারিক সমস্যার কারণে বেশ কয়েক বছর আমাকে সব কিছু থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি এভাবে আর না। ক্যারিয়ার নিয়েই আগামী দিনগুলো পার করে দিবো। চাঁদনীর হাতে ‘পাগলা হাওয়া’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিক রয়েছে। এটি নির্মাণ করছেন আশিক মাহমুদ রনি। খুব শিগগির এটি প্রচারে আসবে। ঈদের পরে এই পর্দাকন্যা ‘শুন্যতায় পূর্নতা’ শিরোনামের একটি একক নাটকের কাজ শেষ করেছেন। নাটকটি নিয়ে এই মডেল-অভিনেত্রী দারুণ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, এই নাটকে আমার চরিত্রটি সিরিয়াস ধরনের। নাটকে আমি বড় বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমি নিজেই আমার স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য বাধ্য করি। এখানে দর্শক অন্য রকম এক চাঁদনীকে পাবে বলে আশা করছি। এটি নির্মাণ করেছেন তুষার খান। এই নাটকে তিনি জুটি বেঁধেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সজলের সঙ্গে। এদিকে সজলকে চাঁদনি তার কাছের বন্ধুদের একজন বলেও জানান। শোবিজে তার কাছের মানুষ আর কে কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিনয়শিল্পী সজল, শাহেদ ভাই, রোমানা, নৃত্যশিল্পী সোহাগ এরাই আমার কাছের মানুষ। এদের উৎসাহে আমি বেঁচে আছি। আমি কারো ওপর নির্ভর করি না। কিন্তু এদের সঙ্গে সব কিছু ভাগ করি। আমার এই সময়ে সব কিছুতে তাদের উৎসাহ-সহযোগিতা পাচ্ছি। ছোট পর্দার বাইরে এই অভিনেত্রীকে বড় পর্দায়ও দেখা গেছে। ১৯৯৪ সালে ‘দুখাই’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তিতে ‘লালসালু’ ও ‘জয়যাত্রা’তে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ক্যারিয়ারের এই দ্বিতীয় ইনিংসে কি চাঁদনীকে চলচ্চিত্রে পাওয়া যাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। এটি আমার জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া। চলচ্চিত্রের প্রতি আমি সব সময় দূর্বল। আমি ফিল্ম পাগল একটা মেয়ে বলতে পারি। আবারো চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই। বানিজ্যিক এবং বিকল্প ধারা দুই ধারার চলচ্চিত্রের প্রতি আমার আগ্রহ আছে। কোনো নির্মাতা যদি আমাকে নিয়ে নতুন কিছু ভাবেন তাহলে আমি সেটা স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহন করবো।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
