৫ থেকে ৭ জন দল আসেন চট্টগ্রামে।হোটেলে উঠেন । দুই-তিনদিন থেকে কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে চলে যান আবার ব্রাহ্মনবাড়িয়ায়। আসা-যাওয়ার পথে ঢাকায়ও ছিনতাই অপারেশন করেন তারা। তবে সংখ্যায় কম। তাদের মুল টার্গেট চট্টগ্রামই। জিজ্ঞাাসাবাদে পুলিশকে এমন তথ্যই দেন ছিনতাইকালে জনতার হাতে ধরা পড়া নারী ছিনতাই চক্রের সদস্য নাজমা বেগম (৩৫)। তার বাড়ি ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরলাগ্রামে।
নাজমা বেগম রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আলমাস সিনেমা হলের সামনে আরেক নারীর স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরে তাকে কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়।
ধরা পড়ার পর সোমবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদে নাজমা বেগম পুলিশকে তথ্য দেয়- তিনি শুধু একা নন। তার দলে অন্তত ৫০ জন নারী রয়েছেন। যারা ছিনতাইকাজে জড়িত। যাদের প্রত্যেকের বাড়ি ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরলা গ্রামে।
নাজমার ভাষ্যমতে, চট্টগ্রাম নাকি মধ্যপ্রাচ্যের আবুধাবি। এখানকার লোক ধনী। চট্টগ্রামের মেয়ে ও বউয়েরা স্বর্ণালঙ্কার ও দামি মোবাইল ব্যবহার করে বেশি। তাই তাদের কাছ থেকে এসব ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে গ্রামের নারীদের নিয়ে দল করা হয়। গত ১০-১২ বছর ধরে এই ছিনতাইকাজে জড়িত হয়ে পড়ে বলে জানান নাজমা বেগম।
কোতোয়ালী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মোহাম্মদ মহসিন জানান, গত ২৯ জুন ছিনতাইকরার সময় সাত নারীসহ নাজমা বেগম পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ২২ জুলাই চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে জামিন পেয়ে তারা আবারো ছিনতাই কাজে জড়িয়ে পড়ে। নাজমা বেগমসহ যে সাত নারীকে আমরা গ্রেপ্তার করা হয় তাদের সবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরলা গ্রামে।
ওসি বলেন, নাজমা বেগম ওই গ্রামের অন্তত ৫০ নারীর তথ্য দিয়েছে আমাদের। যারা সবাই ছিনতাইয়ে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময় চট্টগ্রামে ছিনতাই কাজে যুক্ত ছিল। এরা ঢাকা এবং চট্টগ্রামে কয়েকদিন থাকে, ছিনতাই করে, আবার গ্রামে ফিরে যায়। তাদের টার্গেট শুধু চট্টগ্রামের নারীরা। গলা থেকে সোনার চেইন ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায় তারা। তবে তাদের অপরাধ কর্মকান্ড স¤পর্কে ওখানকার এলাকাবাসী কিছু জানেন না বলে জানান ওসি।
জানা গেছে, ধরলা ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। দেওরত, ধরমন্ডল, গন্না, দৌলতপুর ও সাইউক নামে ইউনিয়নটি পাঁচটি গ্রাম নিয়ে গঠিত। ঐতিহাসিক দিক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলাটির গুরুত্ব আছে। সেই উপজেলারই একটি ইউনিয়নে একই গ্রামে বসবাস করছে অর্ধশত ভদ্রবেশী নারী অপরাধী। যাদের সনাক্ত করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
