২৬শে অক্টোবর শুক্রবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করেছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে । কেয়ারী ক্রোজ এন্ড ডাইন ও বে-ক্রুজ নামে দু’টি পর্যটকবাহী জাহাজ আজ প্রায় চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে এ বছরের পর্যটন মৌসুমের প্রথম যাত্রা শুরু করে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রবিউল হাসান জাহাজ চলাচলের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২৬শে অক্টোরব থেকে তিনটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। সেই তিনটি জাহাজ হচ্ছে কেয়ারী সিন্দবাদ, কেয়ারী ক্রোজ এন্ড ডাইন, বে-ক্রুজ। এর মধ্যে কেয়ারী ক্রোজ এন্ড ডাইন ও বে-ক্রুজ সকাল সাড়ে নয়টায় পর্যটকদের নিয়ে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাবিব খান জানান, এ বছরের প্রথমবার পর্যটকবাহী জাহাজ পর্যটকদের নিয়ে সেন্টমার্টিনে পৌঁছলে দ্বীপবাসীরা পর্যটকদের স্বাগত জানান।
এদিকে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শুরু থেকে এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হলেও এইবার দেরীতে শুরু হয়েছে।
অপরদিকে নাফ নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে ডুবন্ত চর জেগে উঠায় জাহাজগুলোকে নাফ নদীর শূন্যরেখা পেরিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তর দিয়ে চলাচল করতে হবে বলে ধারণা করছেন জাহাজের নাবিকরা।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পর্যালোচনা করেই পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান জাহাজ কর্তৃপক্ষ।
ঝুঁকি এড়াতে বিগত বছর জাহাজ গুলোতে যেভাবে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকতেন, এ বছরও সেই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন দেশী-বিদেশী পর্যটকরা।
এ ব্যাপারে সেন্টমার্টিন দ্বীপের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ঠিক সময়ে এ বছর জাহাজ চলাচলের অনুমতি না দেওয়ায় ইতিমধ্যে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের লোকসানে পড়তে হয়েছে।
