নভেম্বরের মাঝামাঝি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার সরকারকে স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মানবাধিকার সংস্থা। গত ৩০শে অক্টোবর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের এ পরিকল্পনা প্রকাশ করা হলে শুক্রবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। সংস্থাটি বলছে, তাড়াহুড়ো করে নেয়া এ সিদ্ধান্তটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এমন ভয়ানক পরিবেশে ঠেলে দিতে পারে, যেখানে তাদের জীবন এবং স্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন হবে।
এ প্রসঙ্গে রিফিউজি রাইটসের ডিরেক্টর বিল ফ্রিলিক বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আবারো একই নৃশংসতা এবং নির্যাতনের মধ্যে ফিরে  যাচ্ছে না, এ ভীতি তাদের দূর করার মতো কোনো আলোচনা হয়নি। যদি বাংলাদেশ জাতিসংঘকে ছাড়া এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যায়, তাহলে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক সুনাম অর্জন করেছে তা নষ্ট হয়ে যাবে।
গত ৩০শে এবং ৩১শে অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-মিয়ানমারের তৃতীয় বৈঠকে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে প্রত্যাবাসন শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শুরুতে ৪৮৫টি পরিবারের ২২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। আর আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারও উদ্বিগ্ন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর গত জুন মাসে রোহিঙ্গাদের সব রকম সুবিধা নিশ্চিত করে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেবার ব্যাপারে একটি স্মারক সাক্ষর করেছে। তবে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে,  বাংলাদেশ কিংবা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ইউএনএইচসিআর এর সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। এমনকি এ ঘোষণা আসার আগে রোহিঙ্গা শরণার্থী যাদের পাঠানো হচ্ছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। জতিসংঘ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের এ পরিকল্পনাকে তাড়াহুড়ো এবং অকালপক্ক বলে আখ্যায়িত করে এর বিরোধতা করেছে।
ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র এনড্রেজ মাহিসিস ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের বর্তমান অবস্থা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর জন্য সহায়ক নয় বলে আমরা মনে করি। ইউএনএইচসিআর এই অবস্থায় রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে কোনো শরণার্থী ফেরত পাঠাবে না।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031