টাঙ্গাইল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে তার সঙ্গে স্বাক্ষাত করে আজ বেলা ১২টা দিকে সাংবাদিকদের কাছে এ ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি আর নির্বাচন করছি না। কারণ মাঠ নির্বাচন করার মত সমতল নয়। মাঠ এমনই সমতল যে পুলিশের বুটের তলে পড়তে হয়। আর সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাত  খেতে হয়। আমার অফিস ভেঙে দিয়েছে। আমার নিরীহ লোকদেরকে প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার করছে।

যারা সমর্থক তাদেরকে পুলিশ প্রতিনিয়ত টেলিফোন করে ভয় দেখাচ্ছে। এর পড়ে ইলেকশন করা যায় নাকি?

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ইলেকশনটাতো বাণিজ্য নয়। আমি জীবনে অনেক ইলেকশন করেছি। ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করেছি আজকে ২০১৮ সাল এই রকম নির্বাচন আমার এলাকায় আমি জীবনেও দেখিনি। আমি আর শাহাজাহানা সিরাজ ছিলাম দুই প্রতিপক্ষ। কিন্তু আমাদের মধ্যে এই ধরণের কোনো ঘটনা ঘটে নাই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীফ ইলেকশন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছি। কিছুই চাইনি। আমি কিছু চাওয়ার লোক না। আমি বলে আসলাম,  আপনি যে পরিচালনাটা করছেন। এই পরিচালনায় আপনি ব্যর্থ। এই পরিচালনায় নির্বাচন হতে পারে না। তাই আমি মাঠ ছেড়ে দাঁড়ালাম।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপি বলেন, এখনতো আর প্রত্যাহারের সুযোগ  নেই। তাই আমি সরে দাঁড়ালাম। আমি নিরিহ মানুষকে আহত, নিহত হবার সুযোগ কেনো করে দেবো?  যারা আহত নিহত হবে। তাদের দায় আমাকে নিতে হবে। আমি  সেই দায় নেবো না। আমি এতো বড় বীর পুরুষ হতে চাই না। এটা স্বাধীনতা যুদ্ধ না  যে, মুখোমুখি লড়াই করবো। যার সঙ্গে লড়াই করবো সে আমারই কর্মী কিংবা কর্মীর সন্তান। আমি কেনো যাবো এই ধরণের হানাহানিতে? যদি নির্বাচন কমিশন  সুষ্ঠু পরিবেশ  তৈরি করতে না পাড়ে।

তিনি বলেন, আমি তাকে (সিইসি) বলে দিয়ে আসলাম আপনি স্বীকার করুন আর না  করুন। আপনি ব্যর্থ।  কমিশনের পক্ষ থেকে কি বলা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুই বলা হয়নি। আমিতো তার কাছে শুনতে চাই নাই। আমি বলেছি, এক মিনিট আপনার সঙ্গে দেখা করে চিঠি দিয়ে চলে যাবো।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ওসির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। এখন কি ওসির প্রত্যাহার চান জানতে  চাইলে তিনি বলেন, এখন আর কিছুই চাই না। এখন আর সময় আছে নাকি? আমি নিজেকেই মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়েছি। কার কাছে কি চাইবো? এদেশে চাইলেই কিছু হয় না। ঘটনাক্রমে ঘটে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031