সরকারই সবচেয়ে বড় প্রভাবশালী।‘সরকারের চেয়ে কোন প্রভাবশালী নেই। এর বাইরে প্রভাবশালী বলতে কিছু বুঝি না’। কথাগুলো বলেছেন ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি। উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরুর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর সদরঘাটে বিআইডব্লিউটিসি ঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর পার পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে কর্ণফুলীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এ নদীকে বাঁচাতে হবে। কারন কর্ণফুলী বাচঁলে চট্টগ্রাম শহর বাঁচবে। বাঁচবে দেশের অর্থনীতিও। এ নদী আমাদের সম্পদ। দলমতের ্ূঊর্ধে উঠে এ নদীকে বাচাঁতে হবে। আগের কর্ণফুলী নদীতে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।
গতকাল বিকেলে ঘাটে উপস্থিত হয়ে ২ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, আমি মূলত এখানে এসেছি সরেজমিনে উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করার জন্য। সোমবার থেকে এখানে উচেছদ শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আরএস জরিপ মোতাবেক চিহ্নিত এলাকায় অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হবে। অর্থাৎ আরএস জরিপে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবেই কাজ হবে। এ কার্যক্রম চালানোর জন্য আমরা কয়েকটা জোন ভাগ করেছি। প্রথম জোনে
আমাদের ২০০ স্থাপনা আছে। সেখানে দশ একরের মতো জায়গা আছে। প্রথম দফায় এ জায়গা পরিস্কার করা হবে।
ভুমিমন্ত্রী আরো বলেন, এখানে মূলত যারা স্থাপনা করেছেন তারাও জানেন কারা কতটুকু সরকারি জায়গা দখল করে আছেন। আমরা বারবার বলেছি, এখানে কোন স্থাপনা করার জন্য পারমিশন দেয়া হবে না। সেটা সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি হোক। কোনটাই ছাড় দিব না।
২০১৫ সালের পর থেকে স্থাপনা তৈরির কোনো অনুমোদন ছিল না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অনুমোদন না নিয়ে যেসব স্থাপন তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো অবৈধ। তদবিরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে অনেক কলও আসছে, রিকুয়েস্ট আসছে। আমি মনে করি, এখানে রিকুয়েস্ট রাখার সুযোগ নেই। এখানে দীর্ঘসময় দিয়েছি। আমার মনে হয় আর কিছু করার নেই। আমরা সবকিছু বিবেচনা করে কাজ করছি। এখানে অনেক অভিযোগ এসেছে। লবন ব্যবসায়ীদের সর্ম্পকে মন্ত্রী বলেন, লবনের কিছু বিষয় আমার কাছে এসেছে যে, তারা স্টোরেজ করবে কিভাবে? সেজন্য আবার এটা নিশ্চিত করছি। তাদের মূল যে ওয়্যারহাউস সেখানে তারা রাখতে পারছে। কিন্তু তারা আস্তে আস্তে দীর্ঘসময় এসে নদীর পাড় পর্যন্ত চলে এসেছে। তাদেরকে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। আগামী রোববার পর্যন্ত তাদের সরিয়ে নেয়ার সময় আছে। এ কাজগুলো হবে ধীরে ধীরে। আমরা কয়েকটি জোন যেভাবে করছি পতেঙ্গা থেকে মোহরা পর্যন্ত সেভাবেই হবে।
আমি আমার মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ করে দিয়েছি। আমি সবার সহযোগিতা চাই। এ কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রামের একটি সম্পদ। তিনি আরো বলেন, আপাতত আমি এতটুকুই করতে চাই। এখন কাজ দেখেন। কথা বেশি বলে লাভ নেই। যেভাবে হোক কর্ণফুলী নদীকে আমাদের বাচাঁতেই হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এসময় সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন প্রভাবশালী দিয়ে কাজ হবে না। সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী কে? মহামান্য আদালতের রায় আছে। প্রভাবশালী বলতে আমি কিছু বুঝি না।
এসময় ভূমিমন্ত্রীর সঙ্গে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, উচ্ছেদের দায়িত্ব পাওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরা কোন কথা বলেননি ওই সময়।
প্রসঙ্গত: ২০১০ সালের ১৮ জুলাই পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৫ সালের জরিপে কর্ণফুলী নদীর দুইপাড়ে ২ হাজার ২০৬টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ২০১৬ সালের ১৬ অগাস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে জটিলতায় ছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।‘সরকারের চেয়ে কোন প্রভাবশালী নেই। সরকারই সবচেয়ে বড় প্রভাবশালী। এর বাইরে প্রভাবশালী বলতে কিছু বুঝি না’। কথাগুলো বলেছেন ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি। উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরুর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর সদরঘাটে বিআইডব্লিউটিসি ঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর পার পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে কর্ণফুলীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এ নদীকে বাঁচাতে হবে। কারন কর্ণফুলী বাচঁলে চট্টগ্রাম শহর বাঁচবে। বাঁচবে দেশের অর্থনীতিও। এ নদী আমাদের সম্পদ। দলমতের ্ূঊর্ধে উঠে এ নদীকে বাচাঁতে হবে। আগের কর্ণফুলী নদীতে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।
গতকাল বিকেলে ঘাটে উপস্থিত হয়ে ২ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, আমি মূলত এখানে এসেছি সরেজমিনে উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করার জন্য। সোমবার থেকে এখানে উচেছদ শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আরএস জরিপ মোতাবেক চিহ্নিত এলাকায় অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হবে। অর্থাৎ আরএস জরিপে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবেই কাজ হবে। এ কার্যক্রম চালানোর জন্য আমরা কয়েকটা জোন ভাগ করেছি। প্রথম জোনে
আমাদের ২০০ স্থাপনা আছে। সেখানে দশ একরের মতো জায়গা আছে। প্রথম দফায় এ জায়গা পরিস্কার করা হবে।
ভুমিমন্ত্রী আরো বলেন, এখানে মূলত যারা স্থাপনা করেছেন তারাও জানেন কারা কতটুকু সরকারি জায়গা দখল করে আছেন। আমরা বারবার বলেছি, এখানে কোন স্থাপনা করার জন্য পারমিশন দেয়া হবে না। সেটা সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি হোক। কোনটাই ছাড় দিব না।
২০১৫ সালের পর থেকে স্থাপনা তৈরির কোনো অনুমোদন ছিল না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অনুমোদন না নিয়ে যেসব স্থাপন তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো অবৈধ। তদবিরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে অনেক কলও আসছে, রিকুয়েস্ট আসছে। আমি মনে করি, এখানে রিকুয়েস্ট রাখার সুযোগ নেই। এখানে দীর্ঘসময় দিয়েছি। আমার মনে হয় আর কিছু করার নেই। আমরা সবকিছু বিবেচনা করে কাজ করছি। এখানে অনেক অভিযোগ এসেছে। লবন ব্যবসায়ীদের সর্ম্পকে মন্ত্রী বলেন, লবনের কিছু বিষয় আমার কাছে এসেছে যে, তারা স্টোরেজ করবে কিভাবে? সেজন্য আবার এটা নিশ্চিত করছি। তাদের মূল যে ওয়্যারহাউস সেখানে তারা রাখতে পারছে। কিন্তু তারা আস্তে আস্তে দীর্ঘসময় এসে নদীর পাড় পর্যন্ত চলে এসেছে। তাদেরকে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। আগামী রোববার পর্যন্ত তাদের সরিয়ে নেয়ার সময় আছে। এ কাজগুলো হবে ধীরে ধীরে। আমরা কয়েকটি জোন যেভাবে করছি পতেঙ্গা থেকে মোহরা পর্যন্ত সেভাবেই হবে।
আমি আমার মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ করে দিয়েছি। আমি সবার সহযোগিতা চাই। এ কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রামের একটি সম্পদ। তিনি আরো বলেন, আপাতত আমি এতটুকুই করতে চাই। এখন কাজ দেখেন। কথা বেশি বলে লাভ নেই। যেভাবে হোক কর্ণফুলী নদীকে আমাদের বাচাঁতেই হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এসময় সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন প্রভাবশালী দিয়ে কাজ হবে না। সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী কে? মহামান্য আদালতের রায় আছে। প্রভাবশালী বলতে আমি কিছু বুঝি না।
এসময় ভূমিমন্ত্রীর সঙ্গে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, উচ্ছেদের দায়িত্ব পাওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরা কোন কথা বলেননি ওই সময়।
প্রসঙ্গত: ২০১০ সালের ১৮ জুলাই পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৫ সালের জরিপে কর্ণফুলী নদীর দুইপাড়ে ২ হাজার ২০৬টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ২০১৬ সালের ১৬ অগাস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে জটিলতায় ছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
