কাল নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন দেড় শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী  প্রস্তুত।। সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করবেন তারা। ওই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারীসহ উর্ধ্বতনরা উপস্থিত থাকবেন। তারা বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাই আবদুর শুক্কুর শফিকুল ইসলাম শফিক, আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন, ফয়সাল রহমান, বদির ভাগিনা সাহেদ রহমান নিপু, আরেক ভাগিনা টেকনাফ পৌর কাউন্সিলর নূরুল বশর ওরফে নূরশাদ, মং সিং থেইন ওরফে মমসি, ফুপাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেল, মারুফ বিন খলিল বাবু, বদির বেয়াই সাহেদ কামাল, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের ছেলে দিদার মিয়া।

টেকনাফের হ্নীলার নুরুল হুদা, টেকনাফের এনামুল হক এনাম মেম্বার, সাবরাংয়ের মোয়াজ্জেম হোসেন দানু মেম্বার, হ্নীলার জামাল মেম্বার, শাহপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম রেজু মেম্বার, উত্তর আলী খালির শাহ আজম ও সাবরাং নয়াপাড়ার আলমগীর ফয়সাল লিটন, ইয়াবা ডন হাজী সাইফুল করিমের দুই শ্যালক জিয়াউর রহমান ও আবদুর রহমান। টেকনাফের পশ্চিম লেদার নুরুল কবির, হ্নীলা সিকদারপাড়ার সৈয়দ আহম্মদ সৈয়দ, বন্দুকযুদ্ধে নিহত নাজিরপাড়ার শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের ভাই আবদুর রহমান, নাজিরপাড়ার সৈয়দ হোসেন, নাইটংপাড়ার ইউনুস, ডেইলপাড়ার জাফর আলম, জাহাজপুরার নুরুল আলম, হ্নীলার রশিদ আহম্মদ ওরফে রশিদ খুলু, সদরের ডেইল পাড়ার আব্দুল আমিন ও নুরুল আমিন, টেকনাফ সদরের উত্তর লম্বরি এলাকার করিম মাঝি, হ্নীলা ফুলের ডেইলের রুস্তম আলী।

শামলাপুর জুমপাড়ার শফিউল্লাহ, একই এলাকার সৈয়দ আলম, রাজাছড়ার আব্দুল কুদ্দুছ, মধ্যম জালিয়াপাড়ার মোজাম্মেল হক, জাহেলিয়াপাড়ার মোহাম্মদ সিরাজ, কচুবনিয়ার আব্দুল হামিদ, নাজিনপাড়ার মোহাম্মদ রফিক, পল্লানপাড়ার মোহাম্মদ সেলিম, নাইটংপাড়ার রহিমউল্লাহ, নাজিরপাড়ার মোহাম্মদ হেলাল, চৌধুরীপাড়ার মোহাম্মদ আলম, সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার একরাম হোসেন। হ্নীলার পূর্ব পানখালির নজরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়নের তুলাতলি এলাকার নুরুল বশর, হাতির ঘোনার দিল মোহাম্মদ, একই এলাকার হাসান, সাবরাং নয়াপাড়ার নূর মোহাম্মদ, কচুবনিয়ার বদিউর রহমান ওরফে বদুরান, জালিয়াপাড়ার জুবায়ের হোসেন, হ্নীলার পূর্ব লেদার জাহাঙ্গীর আলম।

উল্লেখ্য, দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসার প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা।

এ সুবাদে এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ এ ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যেও ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। তাদের এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ইয়াবার আগ্রাসন অনেকটা কমে আসবে মনে করছেন স্থানীয়রা।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031