সেন্টমার্টিনগামী ৭টি জাহাজের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে বৈরী আবহাওয়ার কারনে টেকনাফ হতে । এতে সেন্টমার্টিন যাওয়া হলোনা প্রায় ৪ হাজার পর্যটকের। অপরদিকে জাহাজ চলাচল না করায় আগেরদিন সেন্টমার্টিনে গিয়ে রাত্রীযাপন করা দুই হাজার পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছে।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বৈরী আহওয়ায় অনাকাংখিত দূর্ঘটনা এড়াতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ৭টি জাহাজের যাত্রা বাতিল করেছেন।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন যেতে না পারা পর্যটকদের টাকা ফেরত দিতে বলা
হয়েছে। এছাড়া দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের তেমন অসুবিধা হবে না উল্লেখ করে
তিনি বলেন আবহাওয়া অনুকুল হলে পরের দিন তারা ফিরবে। স্থানীয় প্রশাসন থেকেও
খোঁজ খবর রাখার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার সকালে আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে এলেও টেকনাফের
দমদমিয়া হতে যথারীতি জাহাজ গুলো পর্যটকদের নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে
যাত্রা করে। জাহাজগুলো নাফ নদী বেয়ে কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর আবহাওয়া হঠাৎ
করে বৈরী হয়ে উঠে দমকা বাতাসের সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। এসময়
উপজেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ যাত্রা বাতিল করে জাহাজগুলোকে ঘাটে ফিরিয়ে
আনে।
এমভি আটলান্টিক ক্রুজ এর কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, জাহাজে থাকা
বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্যের নির্দেশে আমরা জাহাজ ঘাটে নিয়ে আসি। পরে ফেরত আসা
পর্যটকদের টিকেটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। আবার কেউ কেউ মঙ্গলবার যাওয়ার জন্য
টিকেট ফেরত দেননি।
এদিকে সেন্টমার্টিন যেতে না পারা পর্যটকদের দলে দলে টেকনাফ সমুদ্র সৈকত,
নাফ নদীর ট্রানজিট জেটী, মার্থিন কুপ সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলোতে ভীড়
করতে দেখা যায়।
অপরদিকে জাহাজ চলাচল না করায় আগেরদিন সেন্টমার্টিন গিয়ে রাত্রীযাপন করা পর্যটক যারা সোমবার ফিরে আসার কথা ছিল তারা ফিরতে পারছেন না।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, আটকা পড়া পর্যটকদের সংখ্যা দুই হাজারের মতো হতে পারে। সেন্টমার্টিনের ৮৪টি হোটেল-কটেজে তারা অবস্থান করছে। তাদের কেউ কেউ দুপুরের দিকে ফিশিং ট্রলারে টেকনাফ ফিরে যেতে চাইলেও তাদেরকে যেতে দেওয়া হয়নি। তাদের কেউ কেউ আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
